গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থনে ‘আরবদের এক প্রজন্মের জন্য হারাচ্ছি আমরা’। এ কথা বলে বাইডেন প্রশাসনকে কড়াভাবে সতর্ক করেছেন আরব বিশ্বের মার্কিন কূটনীতিকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক কূটনৈতিক বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়।
এরপর গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল অভিযান শুরু করে। তখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরবদের ক্ষোভ ফুঁসে উঠছে। এ ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের গভীর উদ্বেগের বিষয়টি ওই বার্তায় রয়েছে। ওমানে মার্কিন দূতাবাস থেকে বুধবার এক কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা বার্তা পাঠানোর যুদ্ধক্ষেত্রে বাজেভাবে হেরে যাচ্ছি।
ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থনকে বৈষয়িক ও নৈতিক অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে, এটাকে তারা (আরব জনগণ) সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে মনে করে’ বলে ওই বার্তায় সতর্ক করা হয়েছে।
ওই কূটনৈতিক বার্তা মাসকাটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মার্কিন কর্মকর্তা লিখেছেন। এটি হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা পরিষদ, সিআইএ, এফবিআইসহ অন্যদের পাঠানো হয়। যদিও এটি শুধু এক আঞ্চলিক দূতাবাস থেকে পাঠানো একটি বার্তা মাত্র।
কিন্তু এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান মার্কিনবিরোধী তরঙ্গ নিয়ে উদ্বেগের ব্যক্তিগত চিত্র উঠে এসেছে।
সিএনএনের হাতে আসা আরেকটি বার্তা পাঠানো হয়েছে কায়রোর মার্কিন দূতাবাস থেকে। ওয়াশিংটনের কাছে আসা ওই বার্তায় মিসরের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্রের মন্তব্য পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিষ্ঠুরতা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবহেলা আগের সব মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছাড়িয়ে গেছে।’গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ও ওই অঞ্চলের ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেও ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশে-বিদেশে চাপের মুখে রয়েছেন।
সম্প্রতি আরব বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো গাজায় মানবিক সংকট নিয়ে তাদের প্রচণ্ড ক্ষোভের বিষয়টি সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে আয়োজিত একটি সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিক এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : সিএনএন
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন