২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোকে উন্নতমানের ওষুধ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকার করছি।’
আজ রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্বিতীয় জাতীয় লেপরোসি (কুষ্ঠরোগ) সম্মেলন ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী অ্যাপ্রোচ টু জিরো লেপরোসি বাই ২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য তহবিল বৃদ্ধি করাসহ আরো সব ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার কুষ্ঠরোগ নির্মূল কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে বেশি দরকার। কী কারণে হচ্ছে এবং এটা যেন আর না হয়, সেদিকেই আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠরোগ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর লেপরোসি ইন বাংলাদেশ ২০২২-২০৩০ প্রণয়ন এবং যথাযথভাবে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কুষ্ঠরোগীদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকার যে আইন করেছিল, ‘দ্য লেপারস অ্যাক্ট ১৮৯৮’- আওয়ামী লীগ সরকার তা রহিত করেছে বলেও উল্লেখ করের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কাজেই এখন আর কেউ কুষ্ঠরোগীদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। পরিবার থেকে শুরু করে আশপাশের আর কেউ তাদের ঘৃণার চোখে দেখতে পারবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুষ্ঠরোগ নির্মূলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত এবং জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কুষ্ঠরোগীদের সহানুভূতি ও সেবা যেমন দরকার, তাদের পাশে থাকাও দরকার। তাদের মনোবল সৃষ্টি করা দরকার এবং সকলে সেটাই করবেন। এটা ছোঁয়াছে রোগ বলে পুরনো ভ্রান্ত ধারণা একসময় যেটা ছিল, সেটা থেকে সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন অনেকেই এর থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং বের হতে হবে।
’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মেডিক্যাল রিসার্চের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, ‘আমাদের মেডিক্যাল রিসার্চ খুব বেশি দরকার। মেডিক্যাল সায়েন্সের ওপর রিসার্চ দরকার, যেটা আপনারা একটু কমই করেন। আপনারা দয়া করে যদি মেডিক্যাল সায়েন্সের ওপর রিসার্চ করেন, তাহলে দেখবেন আমাদের দেশে জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত যত রোগ আছে, তার ওপর একটি ভালো ধারণা এনে এর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব এবং সে ধরনের ওষুধ বা যা যা দরকার আমরা তৈরি করতে পারব।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন