দীপাবলির দিনে ভারতের উত্তরাখণ্ডের একটি সুড়ঙ্গে কাজ করছিলেন ৪০ জন শ্রমিক। হঠাৎ ধসের কারণে ভেতরে আটকা পড়েন তারা। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে তাদের জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা।
রবিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তরকাশী যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের সিল্কিয়ারায় নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন তারা।
ধসের কারণে বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধারকর্মীরা কাগজে লেখা বার্তা পাঠিয়ে প্রথমে আশ্বস্ত করেন। তার পর থেকে চলছে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা। তবে শ্রমিকরা সুড়ঙ্গের প্রবেশপথ থেকে ৫০০ ফুট দূরে আটকা পড়ায় আবর্জনা সরিয়ে সরিয়ে এগোতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
পাশাপাশি চালাতে হচ্ছে আটকা পড়াদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা।
অক্সিজেনের অভাবে আটকা পড়া শ্রমিকদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন না পেলে দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হতে পারে তাদের। উদ্ধারকর্মীরা অবশ্য ইতিমধ্যে ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের খাবারের ছোট ছোট প্যাকেট সরবরাহ করার পাশাপাশি পাম্প করে ওপর থেকে অক্সিজেনও পাঠাতে শুরু করেছেন।
ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার করমবীর সিং ভান্ডারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সুড়ঙ্গে আটকা পড়া ৪০ জন শ্রমিকই নিরাপদ আছেন। আমরা তাদের কাছে খাবার ও পানি পাঠিয়েছি।’
শুরুতে কাগজে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করা হলেও উদ্ধারকর্মীরা এখন রেডিও হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গটির যে অংশ ধসে পড়েছে, সেখানে প্রায় ৪০ মিটার মাটি ও আবর্জনা সরালে আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছনো যাবে। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়ে মাত্র ২০ মিটারের মতো মাটি সরানো সম্ভব হয়েছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে করমবীর সিং ভান্ডারি জানান, প্রচুর আবর্জনা বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় উদ্ধারকাজে বেশি সময় লাগছে। তবে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না তারা। তিনি বলেন, ‘সুড়ঙ্গে অত্যধিক আবর্জনা থাকায় উদ্ধারকাজে আমাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তবে আমাদের টিম সব চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন