যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন চাঞ্চল্যকরভাবে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ সরকারে ফিরে এসেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পরের বছর প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনের আগে তার শীর্ষ দলে রদবদলের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিলেন।
এর আগে একই দিনে ডানপন্থী মন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন সুনাক। ব্রিটেনে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিতর্কিত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ও পাল্টা প্রতিবাদ হচ্ছে।
সমালোচকরা এ সময় উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ব্রাভারম্যানকে অভিযুক্ত করেন। এতে ব্রাভারম্যানের মতো একজন স্পষ্টভাষী ডানপন্থীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুনাক ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েন।
ব্রাভারম্যানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জেমস ক্লিভারলি, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি ক্লিভারলির জায়গায় নাম ঘোষণা করা হয় ক্যামেরনের।
৫৭ বছর বয়সী ক্যামেরন ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। একই বছর সংসদ সদস্য পদ থেকেও সরে দাঁড়ান তিনি।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্রিটেন ‘ভয়াবহ কিছু আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবেলা করার কারণে তিনি এ ভূমিকা ‘সানন্দে গ্রহণ করেছেন’। ক্যামেরন বলেন, ‘যদিও আমি সাত বছর ধরে সামনের সারির রাজনীতির বাইরে ছিলাম, আমি আশা করি রক্ষণশীল নেতা হিসেবে ১১ বছর এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছরের অভিজ্ঞতা এই গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য করতে আমাকে এগিয়ে রাখবে।
’
এর আগে বরখাস্তের পরে ব্র্যাভারম্যান বলেছিলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমি যথাসময়ে আরো কিছু বলতে চাই।’
গত বছরের অক্টোবরে সুনাক দেশটির নেতা হওয়ার পর তার শীর্ষ মন্ত্রীদের প্রথম বড় রদবদলের অংশ এই পরিবর্তনগুলো।
সূত্র : এএফপি
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন