ভারতে ‘যৌনকর্মী’ শব্দ বদলাতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট

আইনি ভাষ্য থেকে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে কিছুদিন আগেই একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এবার সেই পুস্তিকা পরিমার্জন করে ‘যৌনকর্মী’ শব্দটিও বাদ দিতে চলেছেন তারা। নারীপাচার রুখতে কাজ করা একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে লেখা চিঠিতে সাড়া দিয়েই সুপ্রিম কোর্ট এই পরিবর্তন আনতে চলেছেন।

নতুন পুস্তিকায় যৌনকর্মীর বদলে পরিপ্রেক্ষিত অনুযায়ী পাচার-পীড়িতা (ট্রাফিকড-সারভাইভর), বাণিজ্যিক যৌনকর্মে নিযুক্ত নারী (উইমেন এনগেজড ইন কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটি), বলপূর্বক বাণিজ্যিক যৌন শোষণের ফাঁদে পড়া নারী (উইমেন ফোর্সড ইনটু কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন) লেখার কথা বলা হয়েছে।

 

এর আগে আগস্ট মাসেই দেশটির সুপ্রিম কোর্ট লিঙ্গবৈষম্য রুখতে আইনি ভাষ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার কথা বলেছিলেন। তার পরই ২৮ অগস্ট বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে যৌনকর্মী শব্দটির ঢালাও ব্যবহারও বন্ধ হওয়া উচিত বলে জানায়।

অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ফোরাম নামে এক ছাতার নিচে জড়ো হয়েছিল গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, আসাম, দিল্লি ও মণিপুরের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের বক্তব্য ছিল, যৌনকর্মী বললে মনে হয় ওই পেশায় যুক্ত সব নারীই স্বেচ্ছায় এই কাজ বেছে নিয়েছেন।

অথচ বাস্তবটা এর ঠিক উল্টো। অধিকাংশ মেয়েকেই এই পেশায় আসতে হয়েছে বাধ্য হয়ে, প্রতারিত হয়ে। মুক্তির পথ পাননি বলেই তারা যৌনকর্মে টিকে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।

 

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের গবেষণা ও পরিকল্পনা দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অনুরাগ ভাস্কর ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তাদের চিঠি মোতাবেক ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি সুপ্রিম কোর্টের পুস্তিকায় বদল করা হবে।

শব্দটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য প্রধান বিচারপতি তাদের অভিবাদন জানিয়েছেন বলেও লিখেছেন অনুরাগ।

 

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন