আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যতই সাফল্য আসুক না কেন ভারতকেই নিজের শিকড় মনে করেন এবং সেটাই প্রতিষ্ঠিত করতে চান দীপিকা পাড়ুকোন। ভোগ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা বলেন, “বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলতে কেন আমাকে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে চলাফেরা করতে হবে? মডেলিং ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব ছিল আমার। এমনকি ভারতের ফ্যাশন গুরুরা বলেছিলেন, ‘তোমার এখানে থাকা উচিত নয়। প্যারিস, নিউ ইয়র্ক বা মিলানে থাকার চেষ্টা করো।
’ কিন্তু আমার বরাবরই মনে হয়েছিল, না, ওই জায়গাগুলো আমার বাড়ি নয়। ভারতেই আমার বাড়ি। এখানেই আমি প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছি।”
বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের খ্যাতি রয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক হয়েছেন, টাইম ম্যাগাজিনের কাভারে এসেছেন, অস্কারের মঞ্চে আমন্ত্রিত হয়েছেন। সর্বশেষ ফুটবল বিশ্বকাপের মোড়কও উন্মোচন করেছেন। আন্তর্জাতিক নানা ইভেন্টে নজর কেড়েছেন তিনি। হলিউড ছবি ‘ট্রিপল এক্স’-এর নায়িকা হয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ব্র্যান্ড যেমন-কার্টিয়ার, লুই ভিতোঁর মুখও হয়েছেন।
ভোগকে দীপিকা আরো জানিয়েছেন, এলভির সঙ্গে প্রথম চুক্তি হওয়ার পর প্রথমে নাকি তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, ব্র্যান্ডটি তাঁকে ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ হিসেবে ব্যবহার করবে। অর্থাৎ তাদের পণ্যগুলোর সঙ্গে পোজ দিতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করতে বলবে।
‘পাঠান’ অভিনেত্রী বলেন, ‘গত বছর ফটোগ্রাফার ইথান জেমস গ্রিনের সঙ্গে লুই ভিতোঁর ক্যাম্পেইনের জন্য ছবি তুলেছিলাম।
মনিটরে লোগোসহ ছবিগুলো দেখে মনে মনে ভেবেছিলামও, আমাকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ব্যবহার করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য আমার ছবিগুলো ব্যবহার করবে। সেটা ভেবেই এগিয়ে গিয়েছিলাম।’
পরে অভিনেত্রী বুঝতে পারেন, ব্র্যান্ডটি নিয়ে তিনি যা ভেবেছিলেন তেমনটা নয়। ‘কয়েক মাস পরে কান ফেস্টিভালের জুরি হতে কানে গিয়েছিলাম। রেড কার্পেটে যাওয়ার পথে গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখতে পেলাম বিশাল স্টোরফ্রন্টে আমার মুখ। আচমকা অন্য জগতে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম। এমন সারপ্রাইজ জীবনে কমই পেয়েছি।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন