ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বুধবার বলেছে, ইসরায়েলের অবরোধে থাকা ছিটমহলের কিছু অংশে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে গাজা থেকে সঠিক হতাহতের পরিসংখ্যান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নিরলস বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যুদ্ধে হতাহতের ক্রমাগত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে।
কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার গভীরে প্রবেশ করায় এবং যোগাযোগের অবকাঠামোর অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে পদ্ধতিগত তথ্য সংগ্রহ আরো সমস্যাযুক্ত হয়ে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘উত্তরাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে পরিষেবা ও যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে টানা চতুর্থ দিনের জন্য মন্ত্রণালয় হতাহতের সংখ্যা হালনাগাদ করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে মোট ১১ হাজার ৩২০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে চার হাজার ৬৫০ শিশু বা নাবালক রয়েছে।
এ ছাড়াও ২০২ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন এবং এক হাজার ৭৫০ শিশুসহ তিন হাজার ৬০০ বেসামরিক নাগরিককে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র আন্দোলন হামাসের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, ছিটমহলের ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ২৫টি বোমা হামলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র : রয়টার্স
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন