ইসরায়েল গাজা উপত্যকার দক্ষিণ অংশে চারটি শহর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিকদের। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তারা এই নির্দেশ দিয়েছে। ইরায়েলি বাহিনী এই নির্দেশের পেছনে যুক্তি দেখিয়েছে, যুদ্ধ এমন সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, যেখানে তারা বেসামরিকদের নিরাপদে থাকতে পারবে বলে আগে বলেছিল।
বিমান থেকে রাতভর লিফলেট ফেলে বেসামরিকদের খান ইউনিসের পূর্ব প্রান্তে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং কারারা ছেড়ে যেতে বলে ইসরায়েলিরা।
শহরগুলোতে যুদ্ধের আগে এক লাখ মানুষ বসবাস করত। এখন আরো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে যারা অন্য এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছে। লিফলেটে লেখা ছিল, ‘হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপনার বাসস্থানের এলাকায় তাদের(হামাস) বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। আপনার নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে আবাসস্থল খালি করতে হবে এবং পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে।
’
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকাটি রাতভর প্রচণ্ড বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাদের বেশিরভাগই দক্ষিণের শহরে আশ্রয় নিয়েছে। কারণ ইসরায়েল দক্ষিণের শহরগুলেঅতে মারাত্মক তাণ্ডব শুরু করেছে।
হামাস ৭ অক্টোবর গাজার চারপাশে বেড়া ভেদ করে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ জন হামলায় নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় ২৪০ জিম্মিকে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর থেকে লাগাতার ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে। গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে খাদ্য ও জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে এই হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি শিশু এবং আরো অনেকে বোমায় বিধ্বস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে।
সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন