রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে সু চির প্রতি আহ্বান

gbn

  জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

রোহিঙ্গা, অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য মিয়ানমার সরকারকে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্র। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সাথে কথা বলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঘটনা বিষয়ক মার্কিন আন্ডার-সেক্রেটারি ডেভিড হেল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

বার্মার গণতান্ত্রিক সংস্কার ও মানবিক প্রচেষ্টা এবং নভেম্বরে দেশটিতে হতে যাওয়া নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্ত জাতীয় নির্বাচন হিসাবে আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি পূর্ণব্যক্ত করেন আন্ডার সেক্রেটারি হেল।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগান অর্টাগাস মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বলেন, আন্ডার-সেক্রেটারি হেল রোহিঙ্গা, অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য বার্মা (মিয়ানমারের) সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ‘বিস্তৃত এবং ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে’ সমন্বিত ভূমিকা চেয়েছে যাতে রোহিঙ্গারা আবারও নির্বাসিত হওয়ার কোনো ভয় ছাড়াই তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।

নির্দিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে এক গোলটেবিল আলোচনায় ইউএনবির প্রশ্নের জবাবে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান বলেন, আমাদের মিয়ানমারের প্রতিবেশী সবাইকেই প্রয়োজন (এটি করার জন্য)।

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশ ও ভারত, উত্তর-পূর্বে চীন, লাওস এবং থাইল্যান্ড পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এবং আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

বিগান স্পষ্ট জানিয়েছেন যে উদারতা দেখালেও এটি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব (রোহিঙ্গাদের আশ্রয়) নয়।

সংকট সমাধানে প্রতিটি সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি একটি বৈশ্বিক অগ্রাধিকার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিটি বড় দেশ এই সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমার সরকারকে সমান স্বচ্ছতার সাথে কথা বলা উচিত।

বিগান যুক্তরাষ্ট্রের মতো স্পষ্টবাদী থাকার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর জোর দেন যাতে মিয়ানমার নিশ্চিত করে যে রোহিঙ্গাদের আর দুর্ব্যবহার করা হবে না এবং তারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস পায়।

মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান এবং তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সিদ্ধান্তগুলোকে যতটা সম্ভব প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘বেশ স্পষ্টবাদী’ এবং তার ‘রাজনৈতিক প্রভাব’ ব্যবহার করেছে।

এর জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সহায়তা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব দেশের উচিত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন