মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজু শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে অনুরোধ করেছেন, নয়াদিল্লি যেন তাঁর কৌশলগত দ্বীপপুঞ্জ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে কার্যালয়ে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনেই মুইজু এ পদক্ষেপ নিলেন।
একজন সফররত ভারতীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় মুইজু বলেছেন, নয়াদিল্লি যেন সামুদ্রিক অঞ্চলে উপহার দেওয়া তিনটি বিমান টহলের জন্য মোতায়েন করা কর্মীদের প্রত্যাহার করে।
মুইজুর কার্যালয় একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট তাঁর কার্যালয়ের ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দেখা করেছেন।
এ সময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
তবে মালদ্বীপ সেনা প্রত্যাহারের জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করে দেয়নি বা কতজন কর্মী প্রত্যাহার করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেনি। মুইজু এর আগে ঘোষণা করেছিলেন, বিদেশি সেনা অপসারণ করা তাঁর অগ্রাধিকার।
মুইজু শপথ নেওয়ার পরপরই বলেছেন, ‘মালদ্বীপে কোনো বিদেশি সামরিক সদস্য থাকবে না।
যখন আমাদের নিরাপত্তার কথা আসবে, আমি একটি সীমা চিহ্নিত করব। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও মালদ্বীপ সম্মান রাখবে।’
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে মুইজু বলেছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে চীনা সেনা দিয়ে প্রতিস্থাপন করে আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট করা নয়। রাজধানী মালের সাবেক মেয়র ও সাত বছর ধরে নির্মাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মুইজু এর আগে চীনের সঙ্গে ‘দৃঢ় সম্পর্ক’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেখানে চীন দেশটির মূল আর্থিক সমর্থক।
১৯৬৫ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দেশটির অষ্টম প্রেসিডেন্ট মুইজু সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকা চীনপন্থী পূর্বসূরির প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। আদিম সাদা সৈকত, নির্জন রিসোর্টসহ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপও একটি ভূ-রাজনৈতিক হটস্পট হয়ে উঠেছে।
সূত্র : এএফপি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন