মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সোমবার অঘোষিত সফরে কিয়েভে গেছেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনকে আশ্বস্ত করেন, ওয়াশিংটন রুশ বাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অস্টিনের সফর সম্পর্কে আগে ঘোষণা করা হয়নি জানিয়ে পেন্টাগন একটি বিবৃতিতে বলেছে, অস্টিন এদিন ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থনকে শক্তিশালী করতে কিয়েভে ভ্রমণ করছেন। রুশ আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিকেও তিনি গুরুত্ব দেবেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পেন্টাগন প্রধানের দ্বিতীয় কিয়েভ সফর এটি। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করেছে এবং বারবার কিয়েভকে ‘যত দিন সময় প্রয়োজন’ তত দিন সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত কিয়েভকে সামরিক সহায়তার সবচেয়ে বড় দাতা।
কিন্তু কট্টরপন্থী রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের বিরোধিতা মার্কিন সহায়তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
যুদ্ধের পর দ্বিতীয় শীতের জন্য প্রস্তুত হওয়া ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা কমানো একটি বড় ধাক্কা হবে।
অস্টিন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন বজায় রাখার জন্য অক্টোবরে একটি শুনানির সময় আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছিলেন, ‘আমাদের সমর্থন ছাড়াই (রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির) পুতিন সফল হবে।’
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাতে চাপের নেতৃত্ব দিয়েছে।
রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণ করার পর এবং কয়েক ডজন দেশের সহায়তা সমন্বয় করার পর দ্রুত কিয়েভকে সমর্থনে একটি জোট গঠন করেছে। ইউক্রেনের সমর্থকরা কিয়েভের সেনাদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি রপ্তানিসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি আমদানিকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন