সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনের সময় ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করতে সব দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুতর ও ব্যাপক শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকস জোটের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করেছে। প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির এ জোটে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা অন্তর্ভুক্ত।
এই বছরের শুরুতে রিয়াদকে ব্রিকস জোটে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে একটি সাধারণ প্রতিক্রিয়া তৈরি করার লক্ষ্যে বৈঠকটি হচ্ছে।
চমোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘সৌদি আরবের অবস্থান স্থির ও দৃঢ়; দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ছাড়া ফিলিস্তিনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের কোনো উপায় নেই।’
পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সৌদি আরব প্রত্যাখ্যান করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন সৌদি যুবরাজ।
সেই সঙ্গে এ অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় উদ্ভূত ‘নৃশংস অপরাধ’ শেষ করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার দাবি রাখে।
এ ছাড়াও সৌদি যুবরাজ গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে সৌদি আরবের প্রত্যাখ্যান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ছিটমহলের মানবিক অবস্থার অবনতি বন্ধ করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সৌদি আরব ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
৭ অক্টোবর হামাসের শত শত যোদ্ধার আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় একটি বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয় বলে তেল আবিব জানিয়েছে। অন্যদিকে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েল তার প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করার পর থেকে ওই অঞ্চলে অন্তত ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
সূত্র : আল অ্যারাবিয়া
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন