গাজায় শুক্রবার সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু

শুক্রবার সকালে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি শুরু হবে বলে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন। মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বৃহস্পতিবার দোহায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৭টায় (স্থানীয় সময়) বিরতি শুরু হবে...এবং বেসামরিক জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে একই দিনে আনুমানিক বিকেল ৪টায় হস্তান্তর করা হবে।’ 

আল-আনসারি জানিয়েছেন, ১৩ জনকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের সবাই একই পরিবারের নারী ও শিশু। চার দিনের মধ্যে মোট ৫০ জনকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় ‘অবশ্যই প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে লিপ্ত থাকা ইসরায়েল ও হামাস বুধবার একটি চুক্তি ঘোষণা করে, যাতে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন কমপক্ষে ৫০ জন জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় এই চুক্তিটি পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে, যা প্রসারিত করা হতে পারে, গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দার সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যেও। সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ গাজায় সহায়তা পাঠানো শুরু হবে বলে আশা করছে কাতার। তবে সহায়তার পরিমাণ গাজায় প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আল-আনসারি।

 

এই চুক্তিটি মূলত বৃহস্পতিবার সকালে কার্যকর হওয়ার আশা করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার গভীর রাতে হঠাৎ এটি স্থগিত করা হয়। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান জাচি হ্যানেগবি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি শুক্রবারের আগে শুরু হবে না। এরই কারণ নিয়ে বৃহস্পতিবারজুড়ে জল্পনা চলে।

 বৃহস্পতিবার বিকেলে যুদ্ধকালীন ইসরায়েল সফরের সময় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে কথা বলার সময় চুক্তিটি কার্যকর হওয়া নিয়ে নেতানিয়াহু আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

 

গাজা উপত্যকায় কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধের পর চুক্তিটি ঘোষণা করা হয়। ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা সামরিকীকৃত গাজা সীমান্ত ভেঙে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন, নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে। এর পরই যুদ্ধ শুরু হয়।

গাজা শাসকনারী হামাস সরকারের মতে, নিরলস ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

 

সূত্র : এএফপি, বিবিসি, টাইমস অব ইসরায়েল

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন