ভারতীয় ক্রিকেটের কলঙ্কিত অধ্যায় সামনে আনলেন সামি

ভারতের বিশ্বকাপ দলে থাকলেও শুরুতে একাদশে সুযোগ পাচ্ছিলেন না মোহাম্মদ সামি। হার্দিক পাণ্ডের চোটে কপাল খোলে এই ডানহাতি পেসারের। এরপর শুধুই মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সামি। সবাইকে অবাক করে ৭ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি।

বিশ্বকাপের পর ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে আরো অবাক করা মন্তব্য করেছেন সামি।

 

সবাই সফল মানুষের সফলতার পেছনের গল্প, সংগ্রামের গল্প শুনতে চায়। বিশ্বকাপে এমন পারফরম্যান্সে সামি ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও সমর্থকদের হৃদয়ে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন। নিজের উত্থানের গল্প শুনিয়েছেন পিউমার কাছে।

আর সে গল্পে ভারতের ক্রিকেটের কলঙ্ক একটি অধ্যায় উঠে এসেছে।

 

উত্তর প্রদেশের ক্রিকেটার হয়েও কেন বাংলার হয়ে রঞ্জিতে খেলেছেন, সেই গল্পে সামি জানিয়েছেন, টানা দুই বছর উত্তর প্রদেশের রঞ্জি দলের জন্য ট্রায়াল দিয়েও ডাক পাননি তিনি। বলেছেন, ‘সবকিছুই ঠিকমতো চলছিল। আমি খুব ভালো করতাম কিন্তু শেষ রাউন্ড এলেই আমাকে বের করে দিত।

 

তবুও হাল ছাড়েননি সামি, 'তিন দিনের জন্য ১ হাজার ৬০০ ছেলে ট্রায়াল দিতে এসেছিল। তারা কী দেখবে এই সময়ের মধ্যে? আমার ভাই তাই সংস্থার প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। উত্তরে যা শুনলেন, তা অকল্পনীয়।'

সেদিন উত্তর প্রদেশ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার প্রধানের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল সামির ভাইয়ের? সেটিও বলেছেন সামি, ‘সে যদি আমাকে এই গদি থেকে সরাতে পারে, তাহলেই কেবল এই ছেলেকে নেওয়া হবে। সে খুব ভালো।

কিন্তু, দুঃখিত।' উত্তরে সামির ভাই বলেছিলেন, ‘চেয়ার তো বাদ, আপনাকেও তুলে আছাড় মারতে পারবে। ওর ক্ষমতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

 

এরপর ত্রিপুরা প্রদেশের দলেও ট্রায়াল দিয়েছিলেন সামি, সেখানেও সুযোগ মেলেনি। পরে কলকাতার একটি ক্লাবে ট্রায়াল দেন। সেখানে তাকে বিনা বেতনে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে পরিস্থিতি বদলাতে খুব বেশি সময় নেননি সামি।

সামি বলেন, ‘৯ ম্যাচে ৪৫ উইকেট পাই। এরপর ম্যানেজার ২৫ হাজার রুপি আর একটা ট্রেনের টিকিট দেন। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করব। বাড়ি গিয়ে টাকাটা মাকে দিয়ে দেই। কিন্তু বাবা আমাকে বলেন, এটা তোমার টাকা, তোমার উচিত খরচ করা।'

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন