বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের আগে কর্তৃপক্ষ বিরোধী নেতা ও সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তু করছে বলে অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। কর্তৃপক্ষের নিরপেক্ষভাবে সহিংসতার সব ঘটনা তদন্ত করা উচিত বলেও মত দিয়েছে সংস্থাটি।
গতকাল রবিবার এইচআরডব্লিউ এর ওয়েবসাইটে ‘বাংলাদেশ : নির্বাচনের আগে সহিংস স্বৈরাচারী অভিযান’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি পরিকল্পিত সমাবেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চলমান সহিংসতায় দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
সংস্থাটির এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার অভিযোগ করেছেন, এক দিকে সরকার কূটনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার দাবি করছে। একই সঙ্গে অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধীদের দিয়ে কারাগার ভরাচ্ছে।
ব্লেকনার বলেন, ‘কূটনৈতিক অংশীদারদের স্পষ্ট করা উচিত, সরকারের স্বৈরাচারী দমন-পীড়ন ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বিপন্ন করবে।’
১৩ জন সাক্ষীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার, ভিডিও এবং পুলিশের প্রতিবেদনের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ, গণগ্রেপ্তার, গুম, নির্যাতন এবং নির্বাচনসংক্রান্ত সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য দায়ী।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, ২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পর বিএনপি ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধের ডাক দেয়। ওই সময় এবং পরে পুলিশ, বিরোধী দলের সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
যদিও চারদিকে সহিংসতা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশকে বিক্ষোভের জবাবে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন