মৌলভীবাজার-১ আসনে নৌকার কান্ডারি শাহাব উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়লেখা:: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। 

রোববার বিকেল চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

 

এনিয়ে টানা ছয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেলেন শাহাব উদ্দিন। সৎ, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত শাহাব উদ্দিন বর্তমানে বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাব উদ্দিন ১৯৮৪ সালে প্রথম বড়লেখা সদর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আরও দুইবার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মৌলভীবাজার-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর কাছে তিনি পরাজিত হলেও ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আবারও জয়ী হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও জয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়ে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পান। হুইপের দায়িত্ব পেয়ে তিনি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেন। যার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ আসনে তিনি দলের একক প্রার্থী ছিলেন।  এ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রাথী নাসির উদ্দিন মিঠু ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬৫ হাজার ৮১৪ ভোট। একাদশ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। 

এদিকে চারবারের সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিন দলের মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে যেন রীতিমতো উৎসবের আমেজ বইছে। 

 

দলের নেতাকর্মীরা জানান, পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন তৃণমূলের একজন সৎ ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষও খুশি হয়েছেন। কারণ তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এছাড়া তিনি সব সময়ই সুখে-দুঃখে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের পাশে থাকেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে  তারা আশা প্রকাশ করেছেন।  

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন