১২ রবিউল আউয়াল শুক্রবার পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)। এ দিন আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বনবী ও শেষনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন ইতিহাসের একমাত্র নবী ও রাসুল (সা.), যিনি সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য প্রেরিত হয়েছেন। সাদা-কালো আর জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানবজাতির কল্যাণেই তার আগমন। তিনি কোনো অঞ্চলভিত্তিক অথবা কোনো নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত হননি বরং মহান সত্তার পক্ষ থেকে সমগ্র বিশ্বমানবতার জন্য দয়ার প্রতীক হিসেবে তাকে ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির ললিত বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর পেয়ারা হাবিব বিশ্বনবী (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। তিনি বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি।
নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি ফ্রান্সে বিশ্বনবী ও শ্রেষ্ঠনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এরপূর্বে মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম বাসিল ও তার কলাকুশলীরা ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ নামক চলচ্চিত্রে মহানবী রাসুল (সা.)-কে অত্যন্ত অশালীন ও বিকৃতভাবে বিদ্রæপ করেছিল। এসব ঘটনায় একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আর এমনটা প্রত্যেক মুসলমানেরই হওয়ার কথা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তারা আরো বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় কত চমৎকারভাবেই না বলেছেন ‘রাসুলের অপমানে যদি কাঁদেনা তোর মন, মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসুলের দুশমন।’ আসলেই তাই, ইসলামের বিরুদ্ধে যখন কোন বিষয়ে অভিযোগ হানা হয় তখন প্রতিটি মুসলমানের হৃদয় কাঁদে এবং ব্যথা পায় আর এটাই স্বাভাবিক। আজ যারা রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটাক্ষ করে তারা কি এটা জানে না যে, মহানবী (সা.) তো শুধু ইসলামের অনুসারীদের নবী নন, তিনি সারা বিশ্বের সকল জাতি এবং সকল ধর্মের নবী। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই মহান নবিকে সমগ্র বিশ্বের জন্য শান্তি ও রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। শ্রেষ্ঠনবীর আগমন বার্তা সকল নবীরাই (আ.) দিয়ে গেছেন এবং অন্যান্য নবিগণ এই নবীর উম্মত হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আসুন বিশ্বমানবতার পরম সুহৃদ সেই মহানবীর (সা.) সর্বোত্তম আদর্শকে অনুধাবন, অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে প্রত্যাশিত শান্তি ও সফলতার বাতিঘর প্রজ্বলিত করি। ইসলাম বিশ্বনবীর অতুলনীয় জীবনাদর্শকে বিধর্মীদের মাঝে ফুটিয়ে তুলি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন