উপসাগরীয় অঞ্চলে উপস্থিতি বাড়াতে ব্রিটেন তাদের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌচলাচলের স্বাধীনতা ও বাণিজ্যের নিরাপদ প্রবাহ নিশ্চিত এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে আশ্বস্ত করতে একটি টাইপ ৪৫ ডেস্ট্রয়ার—এইচএমএস ডায়মন্ড অভিযান পরিচালনা করবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, ব্রিটেনের স্বার্থকে অস্থির ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব থেকে সুরক্ষিত রাখতে এই অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের উপস্থিতি জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব এবং ১৯ নভেম্বর লোহিত সাগরে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুথিদের হাতে ইসরায়েল-সংযুক্ত পণ্যবাহী জাহাজ জব্দ হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা চালানোর পর থেকে হুথিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। হামাসের হামলাই এক হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০টি বড় বাণিজ্যিক জাহাজ বাব-এল-মান্দেব প্রণালির মধ্য দিয়ে যায়।
লোহিত সাগরকে এডেন উপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করে এ প্রণালি। এ ছাড়া প্রায় ১১৫টি বড় বাণিজ্যিক জাহাজ হরমুজ প্রণালি দিয়ে চলাচল করে। উপসাগরের পানিপথ বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য অত্যাবশ্যক রুট। যুক্তরাজ্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের অধিকাংশ ট্যাংকারও এ পথে বহন করা হয়।
১৯৮০ সাল থেকে ব্রিটিশ রয়াল নেভির জাহাজ স্থায়ীভাবে এই অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। অঞ্চলটি ২০১১ সাল থেকে ‘অপারেশন কিপিওন’-এর অধীনে পড়েছে। এই নামটি উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক উপস্থিতির জন্য ব্যবহৃত হয়।
শ্যাপস বলেছেন, ‘আজকের মোতায়েন রয়াল নেভির টহলকে শক্তিশালী করবে। গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটগুলোকে খোলা রাখতে সাহায্য করবে।
প্রমাণ করবে যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি কেবল স্থায়ী নয়, বরং বৃদ্ধিও হয়।’
জাহাজটি ফ্রিগেট এইচএমএস ল্যাংকাস্টারের সঙ্গে যোগ দেবে, যা গত বছর এই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছিল।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন