সিলেট জেলার ছয়টি আসনে লড়তে দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে দুইটি আসনে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ওই দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পার্টির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী। তবে সিলেট জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে দুইটি আসনে জাপার মনোনীত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
মনোনয়নপত্র দাখিল না করা প্রার্থী দুইজন হলেন নজরুল ইসলাম বাবুল ও এটিইউ তাজ রহমান। নজরুল ইসলাম বাবুল সিলেট-১ ও তাজ রহমান সিলেট-৪ আসনে জাপার দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন।
সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় নজরুল ইসলাম বাবুলকে। যিনি সদ্য অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নজরুল ইসলাম বাবুল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু তাকে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য দল থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। এতে নাখোশ হন তিনি। তিনি জানান, সিলেট-৩ আসনের অন্তর্গত দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার মানুষ তাকে ভালোবাসেন। তাদের জোরালো দাবি ও অনুরোধে তিনি শুধুমাত্র সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে সেটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে জমা করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তাকে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। বিষয়টি তাকে অনেক ব্যথিত করেছে।
অন্যদিকে সিলেট-৪ আসনে নির্বাচনে লড়তে এটিইউ তাজ রহমানকে মনোনয়ন দেয় জাতীয় পার্টি। কিন্তু তিনিও মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জামানত হারান তাজ রহমান। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা চার অংক ছুঁতে পারেনি।
সিলেট জেলার বাকি চার আসনের মধ্যে সিলেট-২ আসনে ইয়াহইয়া চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনে আতিকুর রহমান আতিক, সিলেট-৫ আসনে সাব্বির আহমদ ও সিলেট-৬ আসনে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন