এটি হচ্ছে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের নতুন লস্ট প্রপার্টি অফিস। সাউথ কেনজিংটন থেকে স্থানান্তরিত হয়ে এই অফিস এখন এসেছে পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্টহ্যাম এলাকায়। লন্ডনের বাস, টিউব কিংবা ট্রামের যাত্রীরা ভুলে কিছু ফেলে গেলে হারিয়ে যাওয়া এসব জিনিস এখানে জমা হয়। এখানে লাখ লাখ মালামাল জমা হয়েছে, যা কেউ নিতে আসছে না কিংবা হয়তো নিতে আসবে। এখানে দেখা পাওয়া যায়, মানুষের নিত্য ব্যবহার্য নানা সামগ্রী সহ অদ্ভুত সব বস্তু।
লস্ট প্রপার্টি অফিসে তিন মাস থাকার পর কেউ দাবি না করলে এগুলো ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সম্পত্তিতে পরিণত হয়। এরপর এগুলো হয়তো নিলামে বিক্রি করে দেয়া হয় অথবা চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানে দান করা হয়।
১৯৩৩ সালে প্রথম এই লস্ট প্রপার্টি অফিস স্থাপন করা হয়েছিল সেন্ট্রাল লন্ডনের বেইকার স্ট্রীট স্টেশনে। এ বছর এই অফিস ৯০ বছর পূর্ণ করলো। এখন প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ আইটেম এই অফিসে এসে জমা হয়। সবচেয়ে বেশী হারানো পণ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাগ। একদিনে সর্বোচ্চ ১শটি হারিয়ে যাওয়া সুটকেইস এখানে এসে জমা হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৩শটি মোবাইল ফোন যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বছরের পর বছর নানা ধরনের হারিয়ে যাওয়া পণ্য সামগ্রী এসে জমা হয়েছে টিএফএল এর লস্ট প্রপার্টি অফিসে। হারিয়ে যাওয়া পণ্য সামগ্রী মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা কম ঘটে থাকে। কারণ অনেকেই জানেনা, হারিয়ে যাওয়া সামগ্রী লস্ট প্রপার্টি অফিসে গিয়ে জমা হয়। তাই লন্ডনের বাস, টিউব কিংবা ট্রামে যাতায়াতের সময় কিছু হারিয়ে গেলে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের ওয়েবসাইটে গিয়ে যোগাযোগ করে তা উদ্ধার করে আনা সম্ভব হতেও পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন