দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য হবিগঞ্জে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৪০ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। জেলার চারটি নির্বাচনী আসনে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, জাকের পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
তবে আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে হবিগঞ্জে সবার আগ্রহ বা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থী। শুধু হবিগঞ্জ-৩ (সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই। বাকি তিনটিতে সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী নির্বাচনী আড্ডায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে শাহনওয়াজ মোহাম্মদ মিলাদ গাজীকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। দলটি এবার তাকে বাদ দিয়ে ভরসা রেখেছে জেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগীকারী চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর ওপর। আর ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। সাবেক এই সংরক্ষিত সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবেন কেয়া চৌধুরী। যদিও এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর ভাই দেওয়ান মোহাম্মদ শাহেদ গাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি টানা তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে হবিগঞ্জ-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হাওরের দুই উপজেলা বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ মিলে এই নির্বাচনী আসনে এবার মনোনয়ন পাননি বর্তমান এই সংসদ সদস্য। তার জায়গায় বেছে নেওয়া হয়েছে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফকে। যে কারণে সমর্থক ও ভোটারদের আগ্রহের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মজিদ খান এমপি। প্রার্থিতা ঘোষণার পর তাকে ঘিরেই চলছে আলোচনা ও পর্যালোচনা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় ব্যক্তি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তবে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে এই আসনের জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকেই পুনরায় বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের মনোনয়ন না পেয়ে দমে যাননি আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন। স্বতন্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে শুধু হবিগঞ্জ নয় বরং পুরো দেশেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ব্যারিস্টার সুমন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন