ড. ইউনূসের মামলা : গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশ নিয়ে চেম্বারে স্থিতাবস্থা

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সামাজিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিককে বিধি অনুযায়ী মুনাফা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার জজ আদালত।

আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিককে বিধি অনুযায়ী মুনাফা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় এখতিয়ারবহির্ভূত ঘোষণা করে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট।

রায়ে আদালত বলেছেন, গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকরা মুনাফার অংশ পাবে কি না, শ্রম আইন অনুসারে সে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের নেই।

 

গ্রামীণ কল্যাণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কম্পানিভুক্ত একটি অলাভজনক সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১০৬ জন শ্রমিক ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ অবসরে গেছেন।

আবার কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার কোনো অংশ তাদের দেওয়া হয়নি। অথচ ২০২১ সাল থেকে গ্রামীণ কল্যাণের মুনাফার অংশ শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে এই শ্রমিকরা ভূতাপেক্ষভাবে মুনাফার অংশ দাবি করেন।

এর জন্য প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দেন। নোটিশে সাড়া না পেয়ে পরে তারা শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল এ মামলার রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল শ্রম আইন অনুসারে ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সময়ের মুনাফার অংশ শ্রমিকদের দিতে গ্রামীণ কল্যাণকে নির্দেশ দেন।

 

এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ।

সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর গত ৩০ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। শ্রমিকদের মুনাফার অংশ দিতে নির্দেশ দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আর অন্তর্বর্তী আদেশে ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্থিতাবস্থা (স্টেটাসকো) দেওয়া হয়। ফলে ১০৬ শ্রমিকের মুনাফাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া আটকে যায়।

 

গত ২১ জুন এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন শ্রমকিরা। পরদিন আবেদনে শুনানির পর চেম্বার আদালত শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সে ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুলাই আবেদনটিতে শুনানির পর তা নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। ট্রাইব্যুনালের রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখে দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় রুল শুনানির রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন