সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদের মৃত্যুর পর ২০২১ জুনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজয়ী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আড়াই বছর সময় পার করেছেন তিনি। এই আড়াই বছরে হাবিবুর রহমান হাবিবের কমেছে ব্যাংকের দেনা। বেড়েছে সম্পদের পরিমাণ।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তাতে দেখা গেছে, গত আড়াই বছরে হাবিবুর রহমানের ব্যাংকের দেনা আড়াই বছরে ৯ কোটি থেকে কমে ২০ লাখে এসেছে!
এই আড়াই বছরে তার ব্যাংকের দেনা কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার ৪০৩ টাকা।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন স্নাতক এবং পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাসী পল্লী গ্রুপের ডিএমডি।
বর্তমানে তার ব্যাংকে আমানত ৫৪ হাজার ২১১ টাকা, বছরে সম্মানীভাতা পান ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা এবং একই খাতে স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭ টাকার জমি। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে একক দেনা দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এরআগে ২০২১ সালের জুনে উপনির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কৃষিখাতে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা। অস্থাবরের মধ্যে তার নামে ছিল ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৮ টাকা। তন্মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যাংকে নিজ নামে ৫২ হাজার ২৪৪ এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা। শেয়ার ছিল নিজ নামে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
উপ-নির্বাচনে হলফনামায় স্থাবর ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ টাকার সম্পদ দেখান। এই সম্পদে অকৃষি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকার এবং পূর্বাচলে ৭ কাঠার একটি প্লটের দাম দেখিয়েছিলেন ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেসময় পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেডের নামে যৌথ ঋণ দেখিয়েছিলেন ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এবার হলফনামায় নিজের শেয়ার/সঞ্চয়পত্রে ৫৪ হাজার ২১১ টাকা এবং সম্মানী ভাতা ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা দেখালেও নগদ কোনো অর্থ দেখাননি হাবিব। বিগত উপ-নির্বাচনে স্ত্রীর নামে কোটি টাকা দেখালেও এবার তা দেখাননি। উপরন্তু স্থাবরের মধ্যে অকৃষি জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে কম দেখিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন