ফুটবলের মাঠে স্বপ্নের মতো সময় কাটছে জুড বেলিংহামের। রিয়াল মাদ্রিদ জার্সিতে গোল করছেন তিনি প্রতিনিয়ত। ১৫ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল। দুর্দান্ত ওই সাফল্যের স্বীকৃতিও পেলেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
জিতলেন ২০২৩ সালের ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বয়ের পুরস্কার।
এই অ্যাওয়ার্ডেও অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিস্তর ফারাকে পেছনে ফেলে সেরার ট্রফিটা জেতেন বেলিংহাম। ইউরোপিয়ান ফুটবলে অনূর্ধ্ব-২১ বছর বয়সী ফুটবলারদের দেওয়া হয় এই পুরস্কার। জুরিদের কাছ থেকে সম্ভব ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে বেলিংহাম পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট ।
শতাংশের হিসাবে ৯৭ শতাংশ। প্রথম পছন্দে তাঁকে ভোট দেননি মাত্র পাঁচজন সাংবাদিক। ২০০৩ সালের পর প্রথমবার কোনো মাদ্রিদ খেলোয়াড় জিতলেন এই পুরস্কার। ভোটে তাঁর ধারে কাছেও ছিলেন না বায়ার্ন মিউনিখের জামাল মুসাইলা এবং বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল।
২০২১ ও ২০২২ সালে এটি জেতেন বার্সেলোনার দুই মিডফিল্ডার গাভি ও পেদ্রি। ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড, বার্সেলোনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ওয়েইন রুনি, পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও জিতেছেন এই পুরস্কারটি। প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে ইতালিয়ান গণমাধ্যম তুত্তোস্পোর্ত।
ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও টিভি চ্যানেলের ৫০ জন সাংবাদিকদের ভোটে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেক ভোটার তাদের সেরা পাঁচ খেলোয়াড় বেছে নেন।
প্রথম স্থানে থাকা প্রতিযোগী পান ১০ পয়েন্ট, দ্বিতীয় স্থানে সাত পয়েন্ট ও তিন নম্বরে থাকা খেলোয়াড় পান ৫ পয়েন্ট, চতুর্থ স্থানধারী ৩ পয়েন্ট ও পাঁচে থাকা খেলোয়াড় পায় ১ পয়েন্ট। সেই হিসাব অনুযায়ী, বেলিংহ্যামকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। ৪৫ সাংবাদিক তাকে প্রথম স্থানে রেখেছেন, বাকি পাঁচজনের কাছে হয়েছেন দ্বিতীয়।
পুরস্কারটি জিতে উচ্ছ্বসিত বেলিংহাম,‘ গোল্ডেন বয়ের জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। এই পুরস্কারটি জিতে আমি খুব খুব খুশি। খেলোয়াড় কোচ, স্টাফ, সমর্থক থেকে ক্লাবের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ মার্কা
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন