ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মি পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন উচ্চ স্বরে এবং ক্ষুব্ধ হয়ে কথা বলেন। গাজা থেকে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি ফিরে আসে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময়।
এরপর গাজা উপত্যকায় আবার লড়াই শুরু হওয়ার পরে বৈঠকটি হয়েছিল। হামাসের কাছে জিম্মি থাকা আরো ১৩৮ জনের ভাগ্য এখন অজানা।
নেতানিয়াহু একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি শুনেছি এবং আপনিও শুনেছেন যৌন নিপীড়ন ও নৃশংস ধর্ষণের বর্ণনা। আমি যে গল্প শুনেছি তাতে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।
আমি তৃষ্ণা, ক্ষুধা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা শুনেছি।’ তবে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন স্বজন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
দানি মিরান নামে এক ইসরায়েলির সন্তানকে ৭ অক্টোবর হামাস জিম্মি করেছিল। তিনি বলেছেন, তিনি বৈঠকে অপমানিত হয়েছেন এবং এর মাঝখানে উঠে চলে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বৈঠকে কী হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে বলব না। শুধু এইটুকু জানাব, পুরোটা ছিল কুৎসিত, অপমানকর এবং অগোছাল।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘সরকার দাবি করছে, তারাই সব কিছু করেছে। কিন্তু হামাস নেতা ইহাইয়াল সিনওয়ার আসলে আমাদের মানুষদের ফেরত দিয়েছেন। যখন সরকার দাবি করছে, তাদের নির্দেশে সব কিছু হয়েছে, তখন আমরা রাগ সামলাতে পারিনি।
ওরা একটা নির্দেশও দিতে পারেনি।’ আরো এক বন্দির আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। অনেকেই সেখানে চিৎকার করেছেন।’
মুক্তিপ্রাপ্ত জিম্মিদের অভিজ্ঞতা জানার জন্য বৈঠকটি করা হয়েছিল। জিম্মি পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল নাম প্রকাশ না করে বলেছে, বৈঠকের কিছু কথা প্রাক্তন জিম্মিদের করা মন্তব্য থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে জিম্মিদের সঙ্গে হামাসের দুর্ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, তবে অনেক অভিযোগ জিম্মিদের চিন্তায় পরিবারগুলো আবেগতাড়িত হয়ে বলেছিল।
জেনিফার মাস্টার নামে একজন বলেছেন, ‘বৈঠকে রীতিমতো উত্তেজনা ছিল। অনেকেই সেখানে চিৎকার করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই আমাদের প্রিয়জনদের বাড়িতে ফিরে আসার চেষ্টা করছি। সেখানে অনেকে বলছে, তারা জিম্মি থাকা নারীদের বা বাকি শিশুদের ফেরত চায়, আবার কেউ কেউ বলছে পুরুষদের ফেরত চাই।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন