রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘যারা মানবাধিকার আমাদের শেখায়, যারা টিচ করতে চায়, তাদের মাস্টার আমরা। তাদের মাস্টার বাংলাদেশ। তাদের বাংলাদেশ শেখাবে যে তোমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছ, পরতে পরতে তোমরা বিশ্বে সংঘাত সৃষ্টি করছ।’
আজ মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনাসভায় দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘যারা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা, মানবাধিকার শেখায় সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাল কী করল? গাজায় প্রতিদিন ৫০০ বা এরও বেশি ছোট ছোট শিশু ও মানুষকে অকাতরে হত্যা করা হচ্ছে।’
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, শিশু হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দাও জানান রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার, কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, বিরাজমান বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিবেকবান যেকোনো মানুষকেই ব্যথিত করবে। অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বিচারিতায় লিপ্ত হচ্ছে।
’
রাষ্ট্রপ্রধান সব মানবাধিকার সংগঠনকে মানবাধিকার রক্ষায় সজাগ থাকার পরামর্শ দেন। দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করারও জোর তাগিদ দেন তিনি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আরো বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা প্রমুখ।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন