সামুদ্রিক ট্যুরিজমের বিকাশের জন্য 'সামুদ্রিক পর্যটন নীতিমালা ২০২৩' এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সামুদ্রিক ট্যুরিজমের বিকাশ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
এই লক্ষ্যে ট্যুরিজম ইকনোমি গড়ে তলতে নতুন নীতিমালার আলোকে মাস্টার প্লান করে পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সামুদ্রিক ট্যুরিজমের বিকাশে দেশে প্রথম এই নীতিমালা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কক্সবাজারে জেটি নির্মাণের জন্য স্থান খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক টুরিজম কম্পানির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং সমুদ্র পথে হজে যারার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এরই মধ্যে ট্রেন চলাচল শরু হয়েছে কক্সবাজারে আগামীতে সমুদ্রের ট্যুরিজম আরও বিকশিত হবে। দেশের সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনকে বিশ্বমানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে টেকসই সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।
পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অবকাশযাপনের উদ্দেশ্যে প্রমোদতরীতে সমুদ্রের নির্দিষ্ট পথে যাত্রা এবং সমুদ্রতীরবর্তী পর্যটন আকর্ষণ উপভোগ করাই হচ্ছে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন। সুনীল অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এই সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় সমুদ্রসীমা, উপকূলীয় নদী এবং নদীর মোহনা, দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনসহ সব মিলিয়ে দেশের সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের সম্ভাবনাকে আরো বিস্তৃত করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন নীতিমালার মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা। এ জন্য সমুদ্রভ্রমণের পর্যটকদের সেবা সহজ করতে চালু করা হবে ওয়ান স্টপ সার্ভিস।
তখন সমুদ্রভ্রমণে ১৩টি মন্ত্রণালয়ের সব সেবা পাওয়া যাবে একসঙ্গে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনকে বিশ্বমানের করা হবে। সমুদ্রভ্রমণ পর্যটনে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের মতো ভাসমান হোটেল-রেস্টুরেন্ট, অ্যাকোয়ারিয়ামসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয় থাকবে।
খসড়া নীতিমালা প্রণয়নে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমুদ্রভ্রমণ পর্যটন আকর্ষণীয় করে তুলতে ওয়াটার স্কিয়িং, জেট স্কিয়িং, সার্ফিং, সি কায়াকিং, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতারের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় পাখি, ডলফিন ও প্রকৃতি উপভোগ, সমুদ্রসৈকত, দ্বীপ ভ্রমণ, ভাসমান হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম, সূর্যস্নান, বিচ কার্নিভাল, জেলেপাড়া, শুঁটকিপল্লী, মৎস্য আড়ত উপভোগ ইত্যাদিও থাকবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন