কোরআন অবমাননার নামে লালমনিরহাটে শহিদুন্নবী জুয়েল নাম যুবককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মানবাধিকার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কুরআন অবমাননার অভিযোগ, পুড়িয়ে মারার অধিকার তাদের কে দিল ? এর মাধ্যমে কি সাজ ও রাষ্ট্রে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে কিনা তা খুজে বের করতে হবে।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) নয়াপল্টনে "লালমনিরহাটের পাটগ্রামে যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার পুড়িয়ে ফেলার প্রতিবাদে ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বিবেচনায় ট্রাইবুনালে বিচারের দাবীতে" জাতীয় জনতা ফোরাত কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণপিটুনির পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় যারা খুশি হচ্ছেন তাদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে। ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে যে হিংস্রতার আশ্রয় নেওয়া হল, তা কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। সরকারের উচিত যারা এই হত্যার সাথে জড়িত, মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা।
তিনি বলেন, যারা এই ধরনের অঘটনকে সমর্থন করে তাদেরও শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। এরাই ধর্মান্ধ, এরাই উগ্রবাদী, এরাই চরমপন্থি। মানুষ কেমনে এত হিংস্র হয়? মসজিদে প্রস্রাবকারির সাথে নবিজীর কেমন আচরণ ছিল- এরা কি জানেনা?
জাতীয় জনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট এহসানুল হক জসীম, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল, সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহি আল ফয়সাল খান, যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ স্বপ্নীল সরকার, এডভোকেট জাকির হোসেন, নির্বাহী সদস্য তোফায়েল আহমেদ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন