সিরাজুল আলম খান ছিলেন সততার পরিক্ষায় উত্তির্ন নির্লুভ ও নিরহংকার মানুষ, ড. মোস্তফা সরোয়ার।

হাকিকুল ইসলাম খোকন,সিনিয়র প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রঃ—-গত ৮ ডিসেম্বর২০২৩, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাডে ৬টায় নিউইয়র্ক এর জ্যামাইকার স্থানীয় মতিন রেস্টুরেন্টে ,,সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদের উদ্দোগে সংগঠনের আহবায়ক ড. মহসিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক সভা অনুস্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় অব নিউ অরলিন্সের এমিরেটস অধ্যাপক ড. মোস্তফা সারওয়ার । সভা পরিচালনা করে ন সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন । আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন এডভোকেট মুজিবুর রহমান ,,বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ,ডা: মুজিবুল হক ,ওয়ালিউল ইসলাম সেলিম ,লিগেল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান ও হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। । জনাব সারওয়ার বলেন ,আমি ছাত্র জীবন থেকে ই ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ছিলাম। বিশেষ করে কাজী আরেফ আহমেদ ,,সিরাজুল আলম খানের খুব প্রিয় ছিলাম। আমিছাত্র থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জীবনের খুব কাছেথেকে সিরাজুল আলম খানকে দেখেছি। তিনি সব সময় কর্মীদের বুকে আগলে রাখতেন। আদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতেন। বংগবন্ধু আথবা বেগম মুজিবের কাছ থেকেই পয়সা এনে ঢাকার নিলখেতের আনোয়ারা রেস্টুরেন্টে কর্মী দের ভাত খাওয়ার বিল দিতেন। কিন্তু তিনি নিজে খেতেন না। তিনি রুমে এসে ডাল ,ভাজি দিয়ে খেয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়তেন। তিনি তোফায়েল আহমেদ ,আসম রব সহ বহু নেতার সৃষ্টি করেন। জয় বাংলা শ্লোগান ,শেখ মুজিবকে বংগবন্ধু উপাধি ,, বাংলাদেশের পতাকা ,জয় বাংলা বাহিনী গঠন করে দেশকে পাকিস্তানীদের কবল থেকে মুক্তির জন্য সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের দিকে নিয়ে স্বাধীন করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দেশের মানুষ ও ছাত্রসমাজ পরিচালিত করে ছিলেন। এক কথায় বলা যায় সিরাজ ভাই ছিলেন বংগবন্ধুর ভেনগার্ড ও বাংলাদেশের স্বপ্লদ্রোস্টা। তার দেশপ্রেম ,সততার জন্য বংগবন্ধু খুব ই স্নেহ করতেন। জাসদ গঠনের পরও সব সময় বংগবন্ধু খোঁজ খবর নিতেন। একদিন অসুস্থতার খবর শুনে আমার সামনে বংগবন্ধু বলেন ,কি রে সিরাজ তোর না শরীর খারাপ। যা রাশিয়া থেকে গিয়ে চিকিৎসাটা করে আয়। কিন্তু তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলেন না ভাই আমি ভালো আছি। এরকম আরও অনেক ঘটনা আমার সামনে ই হয়েছে। একটি দল থেকে বেরিয়ে এসে সেই সময় জাসদ প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে কত মধুর সম্পর্ক ছিল এখন তা কল্পনাও করা যায় না। আজ হত্যা,হিংসা ও ধংসের রাজনীতি দেশ ও জাতীকে ধংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছে। এই ধারা পরিবর্তন করা একান্ত জরুরী। একটি গনতান্ত্রিক দেশে মতদ্বৈততা থাকবে একটাই স্বাভাবিক। এটা আদর্শিক মতবাদিক সংগ্রামের মাধ্যমে ই মোকাবেলা করতে হবে। মাসুল ম্যান পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে নয়। সিরাজ ভাইর সাথে শেষ দিন পর্যন্ত ও আমার যোগাযোগ ছিল। দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ,,শ্রমিক কৃষক ,ছাত্র সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর ও পেশার মানুষের নিয়ে বহু গবেষনা মূলক লেখা রেখে গেছেন। এই সব লেখা সংগৃহীত করে সরকার ও বিরোধী দল দেশের কাজে লাগাতে পারেন। এবং আমাদের নূতন প্রজন্মের গবেষণার জন্য ও এগুলোকে সংগৃহিত করা একান্ত জরুরী। তিনি ছিলেন নির্লুভ আজীবন একজন দেশপ্রেমিক। তিনি এই পৃথিবীতে বউ বাচ্চা বাড়ি ঘর ,,ব্যাংক ব্যালেন্স ,কিছুই রেখে যাননি। সে জন্য তিনি বলেন আমার মৃত্যুর পর কোন শোক সভা হবে না ,শহীদ মিনারে নেওয়ার দরকার নেই। আমার মায়ের একটা সাদা কাপড় রেখেছি এটাদিয়ে মুড়িয়ে মা/ বাবার কবরের পাশে পূতে দিও। কতো উচু মনের দুরদর্শিতার মানুষ হলে এরকম কথা বলে যেতে পারেন। এধরনের মানুষ দল মতের উর্ধে রেখে তার জীবনাদর্শ চর্চা করলে আমরা সবাই উপকৃত হবো। ।। সেই লক্ষ্যে নিউইয়র্কে সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদের গঠনকে সাধুবাদ জানান। এবং আগামী ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২৩,রোববার সন্ধ্যা ছয়টা নিউইয়র্ক এর জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারের ,বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে সিরাজুল আলম খানের ভূমিকা "একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। দল মত সবাই উপস্থিত হওয়ার আহবান জানান ।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন