তুর্কি সুপার লিগে ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আংকারাগুজু ও জাইকুর রিজেসপোরের ম্যাচ শেষে আংকারাগুজুর চেয়াম্যান ফারুক কোজা মাঠে ঢুকে চড়াও হন রেফারির ওপর। আংকারায় ওই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। তাতে হার এড়িয়ে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে ফেরে রিজেসপোর।
কিন্তু আংকারাগুজুর সভাপতি, যিনি এ বছর মেয়র নির্বাচন করতেও আগ্রহী সেই ফারুক কোজা এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মাঠে ঢুকে রেফারির মুখে ঘুষি চালান। রেফারি পড়ে গেলে তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনও তাঁকে মারধর করেন।
এ ঘটনার পর তুরস্কের সব পর্যায়ের লিগের খেলাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খোদ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এর নিন্দা জানিয়েছেন, ‘খেলাধুলা বা সমাজের কোথাও সহিংসতার স্থান নেই।
আর ম্যাচ অফিশিয়ালদের ছাড়া ফুটবল হবে না।’ ছাড় পাননি আংকারাগুজুর সভাপতিও। দুজন সঙ্গীসহ এরই মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রেফারি হালিল উমুত মিলার এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ফারুক কোজা তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, এমনটাও অভিযোগ করেছেন তিনি, ‘সে আমার চোখের নিচে আঘাত করে। আমি পড়ে গেলে কয়েকজন মিলে আমার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাথি চালায়। এ সময় ফারুক কোজা আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।’
খোদ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান হাসপাতালের বিছানায় থাকা রেফারি মিলারকে ভিডিও কলে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। এএফপি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন