বড়লোক দেশের রাষ্ট্রদূতরা জিনিসপত্র কেনার জন্য পীড়াপীড়ি করেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বড়লোক দেশের রাষ্ট্রদূতরা তাদের জিনিসপত্র কেনার জন্য রীতিমত পীড়াপীড়ি করেন। যেটা ভালো মনে হয় আমরা গ্রহণ করি, যেটা ভালো মনে হয় না আমরা গ্রহণ করি না। এজন্য তারা রাগও করেন না।’

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের চাপের সঙ্গে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে এয়ারক্রাফট কেনার যোগসূত্র আছে কি না জানতে চাইলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

 

রাজনৈতিক কারণে কাউকেই হয়রানি করছে না সরকার মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা ধরা পড়ছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আদর্শ দেশ বাংলাদেশ। গাজা পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশে বিনা বিচারে কেউ মারা যায়নি। আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি শিক্ষনীয়।

যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তারাই শাস্তির আওতায় এসেছে। কোনো রাজনীতিবিদকে হয়রানি করা হয়নি।’

 

রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সময় রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে বলে সরকার আশাবাদী। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি কেবল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আগ্রহের ওপর নির্ভর করে না।

তবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায়।’

 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। আপনারা (সাংবাদিকরা) বলেন, নিষেধাজ্ঞা আসছে। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বলে না। যুক্তরাষ্ট্র এ দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়।

সরকারও এটি চায়।’

 

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অন্য দেশগুলোর বাংলাদেশের কাছ থেকে মানবাধিকার ও আইনের শাসন শেখা উচিত। তিনি ফিলিস্তিনের গাজা পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন