সিলেটের দুই মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে, কমেছে সাবেক মন্ত্রীর

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দুই মন্ত্রী ও সাবেক এক মন্ত্রী। গেল পাঁচ বছরে বর্তমান দুই মন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে। আর কমেছে সাবেক মন্ত্রীর।

 

 

 


বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

 


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই তিন হেভিওয়েট প্রার্থী তাদের হলফনামায় যে সম্পদ উল্লেখ করেছিলেন গেল পাঁচ বছরে তার বেশ পরিবর্তন হয়েছে।

 

 


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৬ টাকা। আর স্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ৭১০ টাকা।

 

 


তবে গত পাঁচ বছরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাৎসরিক আয় কমেছে ৯ লাখ ৭০ হাজার ১৯৫ টাকা। আর স্ত্রীর নামে আগে ১৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল। গেল পাঁচ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ অপরিবর্তিত রয়েছে।


এছাড়া, সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮২৮ টাকা। সেই সঙ্গে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭১ টাকার। স্ত্রীর নামে অস্থাবর সম্পদ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩ টাকা দেখিয়েছেন হলফনামায়।

 

 


একাদশ সংসদ নির্বাচনকালীন হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ টাকা। সে হিসেবে মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭০৯ টাকার।

 


সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাঁর হলফনামায় বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১১৩ টাকা। গেল নির্বাচনে তাঁর আয় ছিল ৩২ লাখ ১০ হাজার ৪১০ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নুরুল ইসলাম নাহিদ তাঁর অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ১৩২ টাকার।

 

 


আর আগের নির্বাচনে তার এই সম্পদের পরিমাণ ছিলেন- ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৯ টাকা। এবার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০ টাকার। গত নির্বাচনে স্থাবর সম্পদ দেখান ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪০ টাকার।  

 

 


অর্থাৎ গেল পাঁচ বছরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আয় বাড়লেও কমেছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ। হলফনামায় নাহিদ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

 


সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও পেশা রাজনীতি ও অন্যান্য উল্লেখ করেছেন। আয়ের উৎস দেখিয়েছেন বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টাকা। আর পেশা থেকে বছরে আয় দেখিয়েছেন ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

 

 


ব্যাংক থেকে বার্ষিক মুনাফা পান ৯ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা আয়। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের রয়েছে নগদ ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ২৪১ টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা ৩ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৬৯৫ টাকা, শেয়ার ৮ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা, যানবাহন ২০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার স্ত্রীর নামে ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ, স্ত্রীর নামে আসবাবপত্র ৩ লাখ টাকার।

 

 


স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, দালানকোঠা ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮২৫ টাকার রয়েছে।

 


প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ ও পেশায় চা ব্যবসায়ী ও পরামর্শক দেখিয়েছেন। হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮০ টাকা। স্থাবর সম্পদ রয়েছে কৃষি জমি ৪ দশমিক ৪৭ একর পৈত্রিক সূত্রে এবং স্ত্রীর নামে ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের ১০৫ শতক, অকৃষি জমি নিজ নামে ৪ দশমিক ৫ একর ক্রয়কালীন মূল্য ৫৫ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৫ কাটা জমি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। ২৫ শতক জায়গাতে স্ত্রীর নামে ৬ তলা বাড়ি ১ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৪ টাকা মূল্যের।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন