অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে এই আহ্বান জানান তারা।
এর আগে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি ও কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়। মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সকাল ৮টায় সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের নেতৃত্বে ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে সকাল ৮টায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষের নেতৃত্বে পুস্পস্তবক অর্পণের সময় পার্টির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুর স্মৃতিসৌধে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘৭১-এর ঘাতকদের বিচার অব্যাহত রাখতে হবে। এদেরকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে। ৭২-এর সংবিধানের মূল ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ এই সংগ্রাম বেগবান করতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘গণতন্ত্রহীন ও একতরফা নীতিহীন ভাগাভাগির নির্বাচনী পরিবেশে এবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি। এখানেও দলীয়করণ।
ভাবগম্ভীর পরিবেশে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরিবেশ দেখছি না। নতুন প্রজন্ম প্রকৃত তথ্য জানতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী পরাজয়ের আগের মুহূর্তে ৭১-এর ঘাতক জামায়াতের নীলনকশায় আলবদর ও অন্যরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, যাতে বিজয়ের পর দেশ পুনর্গঠন কঠিন হয়ে পড়ে। দেশে ঐ সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন বেড়ে চলেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলো এদের রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে।
এসব দল দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরো বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য এসব বুদ্ধিজীবীরা সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা আজও তা অর্জন করতে পারেনি। এসব অর্জন করার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ গড়তে হবে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন