ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ যুবারা

জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশ যুবাদের বোলিং তোপে আগে ব্যাটিং করা ভারত যুবারা অলআউট হয় ১৮৮ রানে। এই রান বাংলাদেশ তাড়া করেছে ৪ উইকেট ও ৪৩ বল হাতে রেখে।

তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ যুবারা।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ যুবাদের শুরুটা অবশ্য আশাব্যঞ্জক ছিল না। ৩৪ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান জিসান আলম (০), চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৩) ও দলের সেরা ব্যাটার আশিকুর রহমান শিবলি (৭)।

 

এখান থেকে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিনের প্রতিরোধ। শুধু প্রতিরোধ বললে অবশ্য ভুল হবে, ভারত যুবাদের কাছ থেকে ম্যাচটা এক প্রকার বেরই করে নেন দুজন।

নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার হয়ে হতাশা নিয়ে আরিফুল যখন মাঠ ছাড়ছেন, বাংলাদেশের স্কোরে তখন ১৭২ রান। দুজনের জুটির রান ১৩৮। রাজ লিম্বানির বলে উদয় সাহারানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯৪ রানে আউট হন আরিফুল। তাঁর ৯০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

 

আরিফুল ফেরার সময় জয় থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব তখন আর ১৬ রান।  এ জন্য অবশ্য আরো দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শিহাব জেমসের পর আহরার আমিনের দৃঢচেতা ইনিংসেরও সমাপ্তি ঘটে। ১০১ বলে ৪৪ রান করেছেন আহরার। শেষ পর্যন্ত মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও শেখ পারভেজ জীবন বাংলাদেশকে ফাইলানের তোলার বাকি কাজটা সম্পূর্ণ করেন।

 

ভারত যুবাদের কাঁপিয়ে দেওয়ার আসল কাজটা অবশ্য করেছেন মারুফ মৃধা। এই বাঁহাতি পেসারের তোপে ১৩ রানেই ভারতের টপ অর্ডার ড্রেসিরুমে ফিরে যায়। এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। এখান থেকে মুশের খান ও মুরগান অভিষেকের ৮৪ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে ভারত যুবারা। মুশেরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি ফেরান মাহফুজুর।

তবে সবচেয়ে বাঁধা অভিষেককে ফেরাতে দৃশ্যপটে আবার মারুফ। মারুফের বলে ৬২ রানে থাকা অভিষেক ক্যাচ দেন জিসান আলমের হাতে। শেষ উইকেটে লিম্বানি ও নামান তিওয়ারি ১৬ রান যোগ করে ভারতের স্কোর ১৮০ ছাড়ান। যদিও সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন