আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেটে আসছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রতি নির্বাচনের ন্যায় এবারও সিলেট থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচারনা শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি।
এ উপলক্ষে সিলেট নগরও সেজেছে নতুন রূপে। এর মাধ্যমে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সিটি নির্বাচনে দেওয়া ইশতেহার গ্রিন-ক্লিন সিলেটের প্রথম রূপায়ন সামনে এল।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, “শুক্রবার নগরীর সকল সড়ক থেকে ব্যানার ফেস্টুনের জঞ্জাল সরানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে চৌহাট্টায় যেসব ব্যানার, ফেস্টুন বিলবোর্ড লাগানো হয়েছিল সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কবাতিও নতুন করে লাগানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে সড়কে।”
সাজলু লস্কর বলেন, ‘মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারেও গ্রিন ক্লিন সিলেটের কথা ছিল। সে অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এ লক্ষে মেয়র বিভিন্ন পরিকল্পনা ও বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছেন। যেগুলো ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে নগরের ফুটপাতকে দখলমুক্ত ও হকারমুক্ত করার উদ্যোগ অগ্রাধিকারে রয়েছে।’
নগরীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেয়র কাজ করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গত সিলেট সিটি নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। গত নভেম্বর মাসে তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সিলেট নগরবাসীকে একটি গ্রিন-ক্লিন (সবুজ ও পরিচ্ছন্ন) নগর উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আগমন উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে, যে নান্দনিকতায় সেজেছে নগরী তা ওই প্রত্যয়ের প্রথম প্রকাশ হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে মেয়রের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে তিনি শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে নগরের দুটি স্থানের আলোসজ্জা করা ও পরিচ্ছন্ন এমন ছবি যোগ করে লিখেছেন, ‘গ্রিন ক্লিন সিলেট গড়তে. . সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম সিলেটভিউকে বলেন, “মেয়র দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে ছিলেন। সেখানে পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করেছেন। উন্নত, সবুজ পরিচ্ছন্ন নগরী কিভাবে গড়ে তুলতে হয় তিনি সেই ধারণা রাখেন। এই অবস্থাতে সিলেট সিটিতে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মানুষের প্রত্যাশা, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই নগরীকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করবেন তিনি।
‘‘সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে, সাধারণ মানুষের কাছে মনে হচ্ছে, সেটা প্রধানমন্ত্রী আগমনের লক্ষে তা করা হচ্ছে। কিন্তু তা যেন প্রধানমন্ত্রীর আগমন পর্যন্তই থেমে না থাকে। এটা যেন সবসময় অব্যহত থাকে। কারণ মানুষ সবসময় একটি পরিচ্ছন্ন নগরী চান। তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন; আশা করি নগরের মানুষ সহযোগিতা করবেন। এক্ষেত্রে বাপা সিলেট শাখা সবসময় মেয়রকে সহযোগিতা করবে।”
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন