ডানেডিনে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডেতে তিন ধাপে বৃষ্টি হানা দিয়েছে। টসের পর প্রথম দফা এক ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। সে যাত্রায় ওভার কমেছিল চারটি। দ্বিতীয় দফা আবার বৃষ্টি নামে ম্যাচের ১৪তম ওভারে।
তখন আরো ছয় ওভার কমানো হয়।
তৃতীয় ধাপে বৃষ্টির পর আবার যখন খেলা শুরু হয়, তখন ম্যাচ নেমে আসে ৩০ ওভারে। তখন জানানো হয়, একজন বোলার ছয় ওভারের বেশি বোলিং করতে পারবেন না। বাংলাদেশ দলের মূল দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমানের কোটার তখন আর এক ওভার করে বাকি।
খেলা শুরু হওয়ার পর আরেক পেসার হাসান মাহমুদ তাঁর অসমাপ্ত ষষ্ঠ ওভার শেষ করেন।
বাকি বোলিংয়ের হিসাব মেলাতে হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেনদের দিয়ে। একে তো মাঠ ছোট তার ওপর নিউজিল্যান্ডের হাতে তখন আরো ৮ উইকেট―তিনজনের ওপর দিয়েই ঝড় বইয়ে দেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড ওপেনার ইয়াং জানিয়েছেন, এ জন্য তাঁর কাছে বাংলাদেশকে কিছুটা দুর্ভাগা মনে হয়েছে।
ইয়াং বলেছেন, ‘তারা (বাংলাদেশ) শুরুতে অনেক ভালো বোলিং করেছে। সুইং পেয়েছে। যেখানে সফরকারী দলের জন্য নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ঠিকঠাক লেংথ খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। তবে মূল বোলারদের বোলিং যখন শেষ হয়ে যায়, ওই সময় শেষ ১০ ওভার কঠিন ছিল বাংলাদেশের জন্য। এখানে বাংলাদেশকে আমার কাছে কিছুটা দুর্ভাগা মনে হচ্ছে।
’
এদিক থেকে নিজেদের আবার ভাগ্যবান মনে করছেন ইয়াং, ‘নতুন বলে ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন ছিল। এ সময় আমরা রয়েসয়ে খেলে হাতে উইকেট রাখতে চেয়েছিলাম, যাতে শেষ দিকে দ্রুত রান করা যায়। এদিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। কারণ তাদের মূল বোলারদের ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ষষ্ঠ বোলারের জন্য কঠিন। বাউন্ডারিও ছোট ছিল। সব মিলিয়ে দিনটা আজ আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন