সিরাজুল আলম খান ছিলেন এই শতাব্দীর দেশপ্রেম ও সততার পরিক্ষায় উত্তির্ন একজন রাজনীতিবিদ

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধিঃগত ১৭ই ডিসেম্বর২০১৩, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা নিউইয়র্ক এর বাংগালি অধ্যাষিত জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে সিরাজুল আলম খান সৃতি পরিষদের উদ্দোগে এক সেমিনার অনুস্টিত হয়।  । সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক প্রফেসর ড.মহসিন পাটোয়ারী । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুফিয়ান এ খন্দকার PhD ,pE. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক টিকানা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান । সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন। সভায় বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব এডভোকেট মুজিবুর রহমান ,বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান ,ডা: মুজিবুল হক ,লিগেল কনসালটেন্ট মুজিবুর রহমান ,আলী ইমাম শিকদার ,মোহাম্মদ হোসেন খান মঈনুদ্দিন নাসের ,মোর্শেদ আলম ,নাসির আলীখান পল ,অধ্যাপিকা হোসনে আরা বেগম ,জামন তপন ,সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সাংবাদিক শহীদ রাজু,মোজাহিদ আনসারি ,,হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ও মোশারফ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ । বক্তারা বলেন ,১৯৬২ সাল থেকে তিনি ছাত্রদের সংঠিত করে স্বাধীনতার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যেকে সামনে রেখে জননেতা আব্দুর রাজ্জাক ,কাজী আরেফ সহ অন্যান্য নেতাদের নিয়ে তিনি নিউক্লিয়াস গঠন করেন। তারই ধারা বাহিকতায় ৬৬ সালের ছয় দফা ৬৯ সনের গন অভ্যুত্থান ,এবং ছাত্র সমাজের এগারো দফার আন্দোলন ও ১৯৭০ সনের নির্রাচনে ছাত্র সমাজের অতুলনীয় ভূমিকার মাধ্যমেআন্দোলন জংগী রুপদিয়ে জয় বাংলা বাহিনী গঠন করেন। তারই ধারা বাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুজিব বাহিনী গঠন করে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই সমস্ত আন্দোলন ও সংগ্রামের রুপকার ,নেপথ্য নায়ক ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পুর্ন হবে। আজকের ইতিহাস বিকৃতির যুগে এই কথা গুলো জাতীর সামনে তুলে ধরতে হবে। স্বাধীনতার পর তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ গঠন করেছিলেন। নব গটিত দেশে বৃটিশের রেখে যাওয়া আমলাতান্ত্রিক সমাজের পরিবর্তন করে গরীব মেহনতী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে একটি শ্রেণিহীন ও শোষনহীন সমাজ প্রতিস্টা করতে। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে ভূল ভ্রান্তি হয়েছে। তাইবলে তার দেশপ্রেম বা নেতৃত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলা অবান্তর। বিশ্বের কোন মানুষ ই ভূল ভ্রান্তির উর্ধে নয়।তিনি স্বাধীনতার পূর্বে যেমন বংগবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত ছিলেন। স্বাধীনতার পর মতদ্বৈততা ও ভিন্ন দল করলেও বংগবন্ধুর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয়নি। গরীব মেহনতী মানুষের মুক্তি গনতান্ত্রিক চর্চার জন্য ,বিভিন্ন শ্রেণী ওপেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব কারি দ্বীকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন ,সহ বিভিন্ন সময়ে তার চিন্তা ধারা নিয়ে তিনি মূল্যবান বইপত্র লেখে গেছে।এই গুলো সংগ্রহের মাধ্যমে দেশ ও জাতীর স্বার্থে গবেষনা করার আহবান জানান।বর্তমান হিংসা বিদ্ধেশ , বিরাজনীতি করন ,ভোগের রাজনীতির যুগে মাওলানা ভাসানী ,,সিরাজুল আলম খান সহ এইসব ত্যাগী নেতাদের জীবনী বেশি বেশি করে আলোচনা করা দরকার। তখন আমাদের নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শানিত হয়ে ত্যাগের রাজনীতির শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সত্যি জনমানুষের বাংলাদেশ গঠন করবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন