ক্রিসমাস মৌসুমে ব্রিটেনের টাউন সেন্টারগুলোর দোকানে চুরির প্রবণতা বেড়েছে। ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিটেইলারস এসোসিয়েশন বলেছে, দোকানে চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে হতাশা আছে।
লীডসের এই খেলনার দোকানের মালিক লিসা জানিয়েছেন, তাঁর দোকান থেকে ২শ পাউন্ডের বেশী মূল্যের পকোমন কার্ড চুরি করতে এই লোক তাঁর ছোট ছেলেকে ব্যবহার করেছে।
লিসা জানিয়েছেন, পুলিসকে এই ঘটনা জানালেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তিনি জানান, এ ধরনের চুরির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।
ওয়েস্ট ইয়র্কসায়ার পুলিস বিবিসিকে জানিয়েছে, তাঁরা ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তদন্ত কোরে দেখেছে। কিন্তু এর মাধ্যমে কিংবা স্থানীয় জনগণের কাছে তথ্য চেয়েও সন্দেহভাজনকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পারেনি।
লীসা সহ লীডসের এই শহরতলীর ৪০টির বেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাই দোকান চুরি দমন করতে নিজেদের উদ্যোগে ওয়াটঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি কোরে একটি প্রাক-সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করেছে।
লীসার দোকানের কাছাকাছি আরেকটি দোকানের মালিক রেচেলও উদ্বিগ্ন। এবারের উৎসবের এই মৌসুমে আগের চেয়ে বেশী দোকানচুরি হবে বলে আশংকা করেন তিনি।
লন্ডনের ব্যবসায়ী এনি তাঁর ৭০ বছরের পুরনো ব্যবসার দায়িত্ব দিতে চান তাঁর মেয়ে কেটিকে। কিন্তু দোকানচুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন। কারণ সন্দেহভাজন চোরদের চোখে চোখে রাখতে হলে আরও লোক নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু নতুন লোকবল নিলে খরচও বাড়বে।
ন্যাশনাল পুলিস চিফস কাউন্সিল বিবিসিকে জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিস কর্তৃপক্ষগুলো স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অপরাধীদের ধরতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় অবলম্বন কোরে থাকে। কেইটি নিজের উদ্যোগেই দোকানচোরদের ছবি ফেইসবুকে আপলোড কোরে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
দেশের প্রায় সর্বত্র দোকানচুরি নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একই রকমভাবে উদ্বিগ্ন। পুলিসের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পেয়ে তাঁরা এখন স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত কোরে এই চুরি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন