ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে সব শিরোপাই জেতা হলো পেপ গার্দিওলার। চ্যাম্পিয়নস লিগ, প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, লিগ কাপ, উয়েফা সুপার আর এই ক্লাব বিশ্বকাপ। শুধু ২০২৩-য়েই তিনি মুঠোয় পুরেছেন পাঁচটি ট্রফি। সব জিতে নেওয়ার এই অনুভূতিটা ঠিকই গ্রাস করেছে স্প্যানিশ এই কোচকে।
কিন্তু গত রাতে জেদ্দায় ম্যাচ শেষে এটাও স্পষ্ট করেছেন, তবু সাফল্য ক্ষুধা যায়নি তাঁর।
‘আমার এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে যে আমরা একটা অধ্যায় শেষ করলাম। সব ট্রফিই জিতে গেছি। আর বাকি নেই কিছু।
আমাদের কাজ শেষ হলো। গত আট বছরে যা হয়েছে তার এখানেই ইতি। কিন্তু এখন বড়দিনের সময়। নতুন একটা বই কিনতে হবে, লেখা শুরু করতে হবে আবার’― ফ্লুমিনেন্সকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে নেওয়ার পর বলেছেন গার্দিওলা।
প্রথম কোচ হিসেবে চতুর্থবারের মতো এই শিরোপা জয়ের র্কীতিও এখন গার্দিওলার। সেটি তিনটি ক্লাবের হয়ে। বার্সেলোনাকে দুইবার জিতিয়েছেন তিনি এ শিরোপা। এরপর জিতিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখকেও। সিটির ফুটবলারদের জন্যও যে এই শিরোপা বিশেষ কিছু, সেটাও বলেছেন গার্দিওলা, ‘আমরা হয়তো এই ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রা করব না।
কিন্তু আমি আমার খেলোয়াড়দের বলেছি, এই শিরোপাটা তোমরা সারা জীবন মনে রাখতে পারবে। এই ট্রফির মানে হলো, পুরো এক বছরে তোমরাই ছিলে বিশ্বের সেরা ফুটবল দল। এটা অসাধারণ, অনন্য অনভূতি। দারুণ ব্যাপার।’
২০১৬-তে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটির দায়িত্ব নেওয়ার সময় এতটা ভাবতে পারেননি গার্দিওলা নিজেও, ‘অসাধারণ একটা দিন এটা। সত্যি বলতে আমি ম্যানচেস্টারে যখন আসি তখন ভাবতে পারিনি, এত সব কিছু হবে, এভাবে (ক্লাব) বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে পারব।’ ওদিকে ফ্লুমিনেন্স কোচ ফের্নান্দো দিনিজ দেখাতে চেয়েছেন বাস্তবতাটা, ‘অর্থ অনেক কিছুই সহজ করে দেয়। টাকা থাকলে আপনার সেরা মাঠ থাকে, সেরা অবকাঠামো থাকে, থাকে সেরা খেলোয়াড়রা। এই সব কিছুকে একসঙ্গে মেলানোটা বড় ব্যপার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে এখানে আমাদের বড় ব্যবধান।’ এএফপি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন