ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে জার্মানিতে সহিংসতা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় দেশটির পুলিশ ও জরুরি পরিষেবা কর্মীরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার জানিয়েছেন, গত বছর বছরের শেষ রাতে বার্লিন ও অন্যান্য শহরে দাঙ্গা হয়েছিল। পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবারও একই ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আরএনডি মিডিয়াকে ফেজার বলেছেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন। গত বছর কয়েকটি শহরে আমরা অন্ধ রাগ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখেছিলাম। পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমার কাছে ওই সহিংসতা অভাবনীয়।
এই ঘটনার পেছনে কোনো যুক্তিই দেওয়া যায় না।’
২০২২ সালের শেষ দিনে শুধু বার্লিনেই অন্ততপক্ষে ৪১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। কোলোন, হামবুর্গ, ডর্টমুন্ডে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে
এরপর বাজি বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছিল; কিন্তু তা হয়নি।
২৮ ডিসেম্বর থেকে দোকানে বাজি এসে যাবে। ফেজার জানিয়েছেন, এবার সহিংসতা যাতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি, রাজ্যগুলো ও পুলিশ এবার আলাদা প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন করে ঝুঁকি খতিয়ে দেখা হয়েছে। আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
আমি জরুরি পরিষেবা বিভাগের কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের সুরক্ষার জন্য নিজদের জীবন বাজি রাখেন।’
জার্মানির পুলিশ ইউনিয়ন দাবি করেছে, জরুরি পরিষেবার কর্মীরা যদি আক্রান্ত হন, তাহলে আক্রমণকারীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।
চরমপন্থীদের নিয়ে চিন্তা
ফেজার বলেছেন, ‘বছরের শেষের দিনগুলতে সহিংসতা বেড়ে যায়। আমাদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে। এর সঙ্গে চরমপন্থাও মিশে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যা হচ্ছে, তার আলোকেও পুরো বিষয়টি দেখতে হবে।’
গত জানুয়ারিতে বার্লিন পুলিশ ১৪৫ জনকে গ্রপ্তার করেছিল। বছর শেষের সহিংসতায় ঘটনার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তা ছাড়া ৩৮ জনকে আটকও করা হয়েছিল।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়, তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ জার্মান নাগরিক এবং তাদের বয়স ২১ বছরের কম। জার্মানিতে অনেকেই এই ঘটনায় দায় অভিবাসনকারীদের ওপর চাপিয়ে দেয়। কিন্তু সরকারের বৈষম্যবিরোধী কমিশনের প্রধান ফেরডা অ্যাটাম্যান তখন সাবধান করে দিয়ে বলেছিলেন, এই ধারণার পেছনে কোনো যুক্তি নেই। এগুলো হলো পুরোপুরি বর্ণবাদী প্রতিক্রিয়া।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন