‘হাসির জাদুকর’ চার্লি চ্যাপলিনের প্রয়াণ দিবস আজ

বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্তের মনে আজও প্রাণবন্ত কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন। হলিউড চলচ্চিত্রশিল্পের শুরুর সময় থেকে মধ্যকাল পর্যন্ত তিনি তার অভিনয় ও পরিচালনা দিয়ে সাফল্যের শিখরে আরোহণ করেন। চ্যাপলিনকে বড় পর্দার শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতাদের একজন বলেও বিবেচনা করা হয়। ১৯৭৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর মারা যান এই কিংবদন্তি।

আজ চার্লি চ্যাপলিনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। 

 

চার্লি চ্যাপলিনের পুরো নাম স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র। ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। চ্যাপলিন লন্ডনে প্রচণ্ড দারিদ্র ও কষ্টের মধ্য দিয়ে শৈশব অতিবাহিত করেন।

তার পিতার অনুপস্থিতি ও তার মায়ের অর্থাভাবের জন্য তাকে নয় বছর বয়সের পূর্বেই দুইবার একটি কর্মশালায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল।

 

1

চ্যাপলিন তার শৈশব থেকেই শিশুশিল্পী হিসেবে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রঙ্গশালার সাথে সফর করতেন এবং পরে একজন মঞ্চাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি স্বনামধন্য ফ্রেড কার্নো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন, যারা তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিয়ে যায়। চ্যাপলিন সেখানে হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯১৪ সালে কিস্টোন স্টুডিওজের হয়ে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন।

অচিরেই তিনি তার নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে দ্য ট্রাম্প চরিত্রের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন এবং তার অনেক ভক্তকূল গড়ে ওঠে।

 

বিশ্ব ফিল্ম সংস্কৃতির এক মরমি ঐতিহ্যের ধারক বাহক চার্লি। বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার বিপুল অবদান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেস চার্লি চ্যাপলিনের ছয়টি ছবিকে জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণ করেছে। সেগুলো হলো- ‘দ্য ইমিগ্র্যান্ট’, ‘দ্য কিড’, ‘দ্য গোল্ড রাশ’, ‘সিটি লাইটস’, ‘মডার্ন টাইমস’ ও ‘দ্য গ্রেট ডিরেক্টর’।

এছাড়া চার্লির উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেকিং অব লিভিং (১৯১৪), দ্য ট্রাম্প (১৯১৪), কিড অটো রেসেস অ্যাট ভেনিস (১৯১৫), এ ডগস লাইফ (১৯১৭), শোল্ডার আর্মস (১৯১৮), দ্য সার্কাস (১৯২৬), লাইম লাইট (১৯৫২), এ কিং অব নিউইয়র্ক (১৯৫৭) প্রভৃতি।

 

১৯১৮ সালের মধ্যে তিনি বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে মৃত্যুর এক বছর আগপর্যন্ত তার কর্মজীবনের ব্যাপ্তি প্রায় ৭৫ বছর। বিশ্ব বিনোদন অঙ্গনে চার্লি চ্যাপলিন আজও এক ও অদ্বিতীয়। বিশ্বের এমন খুব কম চলচ্চিত্র পরিচালক বা অভিনেতাকেই পাওয়া যাবে, যিনি বা যারা কখনও চার্লির কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হননি।

২৫ ডিসেম্বর (রবিবার) সেই চার্লি চ্যাপলিনের মৃত্যুদিন। নিপীড়িত দুঃখিত যন্ত্রণাকাতর মূক মানুষগুলোর মুখে ভাষা জুগিয়েছেন তিনি। তাদের কষ্টের এক আনন্দিত বহিঃপ্রকাশ চার্লি চ্যাপলিন। কিংবা বলা যায়, সেই দুঃসহ রাগ ও কষ্টটাকে তিনি নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে ‘ভেন্টিলেট’ করেছেন। চার্লির এই চির উপস্থিতিই কৌতুকশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে যুগে যুগে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন