জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তিতে লাভবান হবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যসচিব

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের লক্ষ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার।

উভয় দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানে পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছি এবং আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাব। গত বছর জাপানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ৪৫ শতাংশ, যা যেকোনো উন্নত দেশের চেয়ে বেশি।

’ উভয় দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

চূড়ান্তভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশ মানেই শেষ নয়। চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার লক্ষ্যেই দুই দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে ঘোষণা দেয় এবং তিন রাউন্ডের সভা শেষে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে, যা আজ প্রকাশ করা হলো। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি ২০২৬ সালের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

 

এর আগে দেওয়া বক্তব্যে বাণিজ্যসচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের পজিটিভ ইমেজ বিল্ডিং এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানিকালে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো অন্যতম।

তিনি জানান, বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান সফরকালে উভয় দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে Strategic Partnership হিসেবে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এরই প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালেও আর একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়।

 

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাপানের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন