হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে থানা হেফাজতে এক আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নির্যাতনের সত্যতা পায়নি। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য পলাশ রঞ্জন দে।
তিনি জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করেছি। এতে ওই আসামীকে নির্যাতনের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
পলাশ রঞ্জন দে বলেন, আজ শুক্রবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার শেষ দিন, রাত ১২টার আগেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এর পুর্বে থানা হেফাজতে এক আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার প্রধান করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন, বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে ও কোর্ট পরিদর্শক কামরুল ইসলাম।
জানা যায়, একটি টমটম চুরির মামলায় বানিয়াচং উপজেলা সদরের নন্দীপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে গোলাম রাব্বানীকে (২৫) গত মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। রাতে এশার নামাজের সময় পুলিশ থানা হাজতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা ফজর চান তার ছেলেকে থানা হেফাজতেহ নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, রাব্বানীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। সে থানা হাজতে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন