ইতিহাসের হাতছানি নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডে যেকোনো সংস্করণে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সামনে ছিল সফরকারীরা। ম্যাচ এখনো না শেষ হলেও প্রথম ইনিংস শেষে সেটা অনেকটা মিইয়ে গেছে। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ যে অলআউট হয়েছে মাত্র ১১০ রানে।
সিরিজে সমতা ফেরাতে নিউজিল্যান্ডের দরকার ১১১ রান। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের শুরু থেকেই ধুঁকেছে। একজন ব্যাটারও ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ইনিংস শুরু করে বড় করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেনরা।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয় সৌম্য সরকারকে দিয়ে। টিম সাউদির প্রথম ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে আউট হন সৌম্য। রনিকে নিয়ে ভালো এগোতে থাকলেও আরেকবার ইনিংস বড় করতে পারেননি নাজমুল।
রনি-নাজমুলের ২৭ রানের জুটি ভাঙেন অ্যাডাম মিলনে। ১৭ রানে আউট হন নাজমুল। এরপর দ্রুতই বেন সিয়ার্সের বলে রনি ও মিচেল স্যান্টনারের বলে আফিফ হলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। রনি ১০ ও আফিফ ১৪ রান করেন। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন রনি, সিয়ার্সের বলটা লেগ স্টাম্প মিস করেছিল।
সে যাই হোক, ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার এই ধাক্কা আর ইনিংসজুড়ে কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
বরং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। দলীয় ৬৮ রানে ব্যক্তিগত ১৬ রানে তাওহিদ আউট হওয়ার পর শেখ মেহেদী হাসান-শামীম হোসেনরাও তাঁর পথ অনুসরণ করেছেন। মিচেল স্যান্টনার ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, মিলনে ও সিয়ার্স।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন