রেমিট্যান্স আনার দায়িত্ব আমাদের নয় : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বছরে আমাদের দেশ থেকে ১১-১২ লাখ মানুষ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী রেমিট্যান্স বাড়েনি। এই রেমিট্যান্স আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। রেমিট্যান্স আনার দায়িত্ব হলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

আমরা আমাদের কাজ করছি। এখন তারা তাদের কাজ করলে রেমিট্যান্স স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।

 

আজ শনিবার জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রবাসীদের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য দূতাবাসেই যেতে হয়।

দূতাবাস ছাড়া তাদের আর কোনো জায়গা নেই। পাশাপাশি কর্মীরাও দূতাবাস থেকে সকল ধরনের সেবা পাচ্ছে। কিছু কিছু অভিযোগ মাঝে মাঝে আসে। অভিযোগ থাকবেই।

চাহিদা বৃদ্ধি পেলে অভিযোগ থাকবেই। অভিযোগের সমাধানও সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায়।

 

তিনি আরো বলেন, আমরা মানুষ কিন্তু অনেক পাঠিয়েছি। গত বছরও রেকর্ড হয়েছিল। এ বছরও রেকর্ড হয়েছে৷ আমার বিশ্বাস সামনের বছরও রেকর্ড হবে।

কারণ সারা বিশ্বে কর্মী চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমরা দক্ষতা উন্নয়ন ট্রেন্ডে ফেল করছি। আমরা যত কর্মী পাঠাচ্ছি তার অর্ধেকের বেশি অদক্ষ কর্মী। এটা আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের দক্ষতার লাইনেই কর্মী পাঠাতে হবে। আর এটা রিক্রুটিং এজেন্সির ভূমিকা ছাড়া সরকার একা করতে পারবে না।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের লোকেরা তাদের পরিবারের জন্য দেশে টাকা পাঠায়। সেই সুযোগে সরকার রেমিট্যান্স পায়। তবে রেমিট্যান্স খুব বেশি না। রেমিট্যান্স প্রেরণে আমরা সপ্তম। আমাদের চেয়ে অনেক অল্পসংখ্যক লোকের দেশ ফিলিপিন কিংবা মেক্সিকো অনেক রেমিট্যান্স পাঠায়, ভারত রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ। আমাদের রেমিট্যান্স অনেক কম। এর একটি বড় কারণ আমাদের যেসব প্রবাসী যাচ্ছেন তাদের বিরাটসংখ্যক দক্ষতা সম্পন্ন নয়।

তিনি আরো বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রায়ই অভিযোগ করা হয় পাসপোর্ট দিতে দেরি করছে, এনআইডি তারা পান না, বিদেশে অনেক প্রবাসী গিয়ে চাকরি নাই। মধ্যপ্রাচ্য থেকে চাকরির অভাবে ৩৫ শতাংশ ফিরে আসে। কিন্তু এগুলোতে সব দায়দায়িত্ব দেওয়া হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। পাসপোর্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইস্যু করে না। পররাষ্ট্র শুধু তথ্য বায়োমেট্রিক ডাটা সংগ্রহ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়। তারা (স্বরাষ্ট্র) যাচাই-বাছাই করে পাসপোর্ট তৈরি করে। যখন তারা (স্বরাষ্ট্র) তৈরি করে পররাষ্ট্র সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিতরণ করে। কিন্তু বাজারে কথা আছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট দিতে দেরি করে।

কর্মীদের বিদেশে গিয়ে চাকরি না পাওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে গিয়ে অনেকে চাকরি পান না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তো চাকরি জোগাড় করে না। বিএমইটি আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানাত-এ রকম একটা কম্পানি থেকে চাহিদা এসেছে ওদের যাচাই-বাছাই করা দরকার। সম্প্রতি এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খবরই দেন না তারা। তারপর আমরা জানি না, এটা ভুয়া কম্পানি না কি, তার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে সবাই সজাগ হতে হবে।

আলোচনাসভা শেষে ২০২৩ সালের ৫৯ জন সিআইপি (এনআরবি) কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৫ জন প্রবাসীর সন্তানকে শিক্ষবৃত্তি প্রদান করা হয়।

আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সভাপতি আবুল বাশার ও সিআইপি এনআরবি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাতাবুর রহমান।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন