তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার অপরাধ সংঘটনের জন্য এবং তার প্রতিষ্ঠান ঘুষ দিয়ে সেটি ‘ম্যানেজ’ করার অপচেষ্টাও করেছে।”
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) গবেষক পপি দেবী থাপা গ্রন্থিত ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকরা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত পিআইবির মহাপরিচালক ও গবেষণাগ্রন্থটির মুখবন্ধকার জাফর ওয়াজেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর বহু নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফৌজদারি ও দেওয়ানি অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন, অনেকে অনেক দিন জেলও খেটেছেন।
যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়া একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এমন ঘটনাও আছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, ইউনূস সাহেব বহু বছর ধরে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেননি। এরপর যখন শ্রমিকরা আদালতে গেছে, তখন আদালতের বাইরে দুজন শ্রমিক নেতাকে তার প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি করে ছয় কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা তো আর টাকা পায় নাই, দুজন নেতা টাকা পেলে তো আর হবে না।
সে কারণে সাধারণ শ্রমিকরা মামলায় গেছে।’
শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলো অনেক কথা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্ররা গার্মেন্টস শ্রমিকের পাওনা আদায়ের কথা বলে। আশা করব তারা এ ব্যাপারেও কথা বলবে। শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণেই অর্থাৎ একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বিধায় মামলা হয়েছে।
’
এদিন দুপুরে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার একটি ধারায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ঢাকার আদালত। তবে রায় ঘোষণার পর আদালত আপিলের শর্তে ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন