তুরস্ক মঙ্গলবার বলেছে, তারা ইউক্রেনকে ব্রিটেনের দেওয়া দুটি মাইন শিকারি জাহাজকে তার জলপথ দিয়ে কৃষ্ণ সাগরের পথে ট্রানজিট করার অনুমতি দেবে না। কারণ এটি প্রণালিতে যুদ্ধকালীন চলাচলসংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করবে। রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটেন গত মাসে বলেছিল, তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের সমুদ্র অভিযানকে শক্তিশালী করতে সহায়তায় ইউক্রেনের নৌবাহিনীতে তাদের রয়াল নেভির দুটি মাইন শিকারি জাহাজ হস্তান্তর করবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের যোগাযোগ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ন্যাটো সদস্য তুরস্ক মিত্রদের জানিয়ে দিয়েছে, যত দিন ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে তত দিন তারা জাহাজগুলোকে তার বসফরাস ও দারদানেলিস প্রণালি ব্যবহার করতে দেবে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে অধিদপ্তর বলেছে, ‘আমাদের প্রাসঙ্গিক মিত্রদের যথাযথভাবে অবহিত করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে, ইউক্রেনকে যুক্তরাজ্যের দেওয়া মাইন শিকারি জাহাজগুলোকে তুর্কি প্রণালি দিয়ে কৃষ্ণ সাগরে যেতে দেওয়া হবে না।’
রয়টার্স বলেছে, রাশিয়া যখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে, তখন তুরস্ক ১৯৩৬ সালে স্বাক্ষরিত মন্ট্রেক্স কনভেনশন শুরু করে। কার্যকরভাবে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর সামরিক জাহাজের পথ বন্ধ করে দেয়।
তুরস্ক সেই সময় কৃষ্ণ সাগর বহির্ভূত রাষ্ট্রগুলোকে প্রণালি দিয়ে যুদ্ধজাহাজ না পাঠাতেও সতর্ক করেছিল। চুক্তিটি স্বাগতিক ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়া জাহাজগুলোকে ছাড় দেয়, তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বা ইউক্রেন কেউই তাদের যুদ্ধজাহাজগুলো নিয়ে তুর্কি প্রণালি দিয়ে কৃষ্ণ সাগরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
মন্ট্রেক্স কনভেনশন অনুসারে, যুদ্ধের সময় অবিদ্বেষী দলগুলোর যুদ্ধজাহাজ প্রণালি দিয়ে ট্রানজিট করতে পারে। তবে তুরস্ক যদি নিজেকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে বিবেচনা করে, তবে এ বিষয়ে আংকারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
কৃষ্ণ সাগরে উত্তেজনা রোধে তুরস্ক নিরপেক্ষভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে মন্ট্রেক্স বাস্তবায়ন করেছে বলে তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে। যুদ্ধের মধ্যে আংকারা কিয়েভ ও মস্কো—উভয়ের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন