সিলেটের বিভিন্ন স্থানে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ভোটের মাঠে কাজ করায় ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে’ বিএনপি থেকে একের পর এক নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হচ্ছে। বিভাগে অন্ততঃ ১০ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এ অভিযোগে। পাশাপাশি তাদের ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ এ মর্মে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা বিএনপিসূত্র সিলেটভিউ-কে জানিয়েছে- এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় ৪ জন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ বুধবার (৩ জানুয়ারি) একসঙ্গে দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার) অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন বর্জন করেছে বড় বিরোধী দল বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকারের অধিনে নির্বাচন তারা মেনে নেয়নি, তাই এবারও দলটি নির্বাচনে আসেনি। পাশাপাশি- সিলেটসহ সারা দেশে সকল নেতাকর্মীকে ভোট বর্জনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ অবস্থায় যেসব নেতা ভিন্ন দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। করা হচ্ছে সাময়িক বহিষ্কার। পাশাপাশি ‘কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না’ এ মর্মে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে।
গত ৪ দিনে সিলেট জেলা মহানগরে ৪ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র (সদ্য বহিষ্কৃত) সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কছির আলী, দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আব্দুল খালিক ও মহানগরের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নিহার রঞ্জন দাস।
এছাড়া মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদাল হোসেনকেও একই ‘অপরাধে’ বুধবার বহিষ্কার করা হয়েছে।
তাদের কেউ আওয়ামী লীগ, কেউ জাতীয় পার্টি আবার কেউ তৃণমূলক বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে বিএনপির অভিযোগ।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন- বর্তমান স্বৈরাশাসকের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি টানা আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের কারণে লাখো নেতাকর্মী আজ কারাগারে। এই অবস্থায় কোনো নেতা যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হচ্ছেও। জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করলে এ প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন