সুনামগঞ্জ -১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আসনে তিন প্রার্থীর স্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। তাঁরা নিজ স্বামীর জন্য ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্বামীর পক্ষে উন্নয়নের ফিরিস্তি, গুণাবলি ও নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা।
নির্বাচনী এলাকায় নারী ভোটারদের টার্গেট করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক। যদিও এর আগে এই আসনে প্রার্থীদের স্ত্রীদের ভোটের মাঠে এমনটা দেখা যায়নি। ফলে এই আসনে ভোটের মাঠে প্রার্থীদের স্ত্রীদের ভোট প্রার্থনা নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। তাদের তার্গেট নারী ভোটার ভাগে নেয়া এবং ৭ জানুয়ারী কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো।
সরজমিন দেখা যায়, সুনামগঞ্জ- ১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট রঞ্জিত সরকারকে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী করতে প্রচারে নেমেছেন তার স্ত্রী সুমা রানী সরকার। রঞ্জিত সরকার একদিকে প্রচারণায় গেলে অন্যদিকে যাচ্ছেন তার স্ত্রী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক করছেন তিনি। তিনি নারী ভোটারদের বলছেন, তাঁর স্বামী নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন করবেন এবং নারীদের পাশে থেকে সেবা করবেন। তাঁর স্বামীকে অন্তত একবার হলেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবার করার অনুরোধ জানান তিনি।
একই আসনে রঞ্জিতের প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন তার স্ত্রী তানভি ঝুমুর। তাঁর স্বামীর উন্নয়নের চিত্র তুলে গ্রামের নারীদের একত্রিত করে স্বামীর জন্য কেটলি প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। ভোটারদের তিনি বলছেন, এই আসন থেকে তাঁর স্বামী তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। আবারও কেটলি মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার অনুরোধ জানান তিনি।
এই আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সেলিম আহমদের নির্বাচনী প্রচারে নারীদের নিয়ে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে এ গ্রাম থেকে ঔ গ্রামে চষে বেড়াচ্ছেন তার স্ত্রী সামিয়া বখত কাকলি। অক্লান্ত পরিশ্রম করে গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলি ও উঠান বৈঠক করছেন তিনি। তাঁর স্বামীর ঈগল প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। তিনি নারী ভোটারদের বলছেন, তাঁর স্বামী একজন সৎ এবং ভালো মনের মানুষ। তিনি মহামারী করোনা এবং বন্যার সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। মসজিদ মাদ্রাসায় তাঁর সাধ্যমত দান করছেন। আপনারা তাঁকে ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। কথা দিচ্ছি, আমার স্বামী অতীতের ন্যায় আপনাদের সূখে দুখে ্আপনাদের পাশে থাকবেন।
এই আসনে প্রার্থীদের স্ত্রীদের প্রচার-প্রচারণায় নারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে ভোট দিতে উৎসাহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থীদের স্ত্রীরা। নারী ভোটাররা প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি তাদের মতবিনিময় করতে না পারলেও তাদের স্ত্রীদের মাধ্যমে চাহিদা উপস্থাপন করতে পেরে বেশ আত্মতৃপ্তি লাভ করছেন। প্রার্থীরাও তাদের স্ত্রীদের মাধ্যমে জেনে আশ্বাস দিচ্ছেন নারীদের বিভিন্ন সমস্যা ও চাহিদা বাস্তবায়ন করবেন নির্বাচিত হলে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন