কে হবেন বর্ষসেরা খেলোয়াড়? আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফির লড়াইয়ে দুই ভারতীয়র সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ক্রিকেটার। গত বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পাশাপাশি ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দুটি জয়েই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্যাট কামিনস। ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকায় স্বভাবত আছেন প্যাট কামিনস।
ব্যাট হাতে আলোকিত নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়ার আইসিসির ওই দুই ট্রফি জয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন ট্রাভিস হেড। স্যার গ্যারি সোবার্স ট্রফির লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের সঙ্গে নাম আছে এই হেডেরও। ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল ও ফাইনাল জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন হেড। এই দুই অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গে বর্ষসেরার মনোনয়ন পেয়েছেন বিরাট কোহলিও।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে রেকর্ড ৭৬৫ রান করেছিলেন কোহলি। ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকায় থাকা অন্যজন হচ্ছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।
২০২২ সালের আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে ছিলেন হেড। সাফল্যে তিনি ছাপিয়ে গেছেন আগের বছরকেও।
৩১ ম্যাচে মোট রান করেছেন ১৬৯৮। শুধু টেস্টে রান করেছেন ৯১৯। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে করেছিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও করেছেন তিন অঙ্কের জাদুকরী স্কোর। ২০২৩ সালের ওয়ানডের দুটি সেঞ্চুরিই বিশ্বকাপে।
অথচ চোটের জন্য বিশ্বকাপই হুমকিতে পড়েছিল তাঁর। সব সংস্করণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের বর্ষসেরার মনোনীতদের তালিকায় জায়গা করে দেয় হেডকে।
২০২৩ সালে বছরজুড়ে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্যাট কামিনস। ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও করেছেন ৪২২ রান। ওভালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডে মর্যাদার অ্যাশেজ ধরে রাখে তাঁর অধিনায়কত্বেই। এরপর ভারতে তিনি দেশকে এনে দেন ষষ্ঠ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নেতৃত্বের পাশাপাশি বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি শেষ দিকে ব্যাটিংয়েও রেখেছেন অবদান। বছরের শেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজেও ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে কামিনসের। ২০১৫ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার কেউ পারেননি বর্ষসেরার এই ট্রফি জিততে।
ব্যাটি হাতে আরেকটা দারুণ বছর কাটিয়েছেন কোহলি। ৩৫ ম্যাচে রান করেছেন ২০৪৮। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করে জেতেন টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার। বছরে ছয় সেঞ্চুরিতে শচীন টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই সংস্করণে করেছেন সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। লাল বলের টেস্টেও বছরটা দারুণ কেটেছে তাঁর। আলোকিত এ সাফল্যই কোহলিকে জায়গা করে দিয়েছে বর্ষসেরার মনোয়নে। এবার জিতলে তৃতীয়বার বর্ষসেরার ট্রফি জিতবেন কোহলি। যা পারেননি কোনো খেলোয়াড়।
কোহলির জাতীয় দলের সতীর্থ রবীন্দ্র জাদেজারও বাইশগজে সময় একেবারে খারাপ কাটেনি। ৩৫ ম্যাচে ৬৬ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রানও করেছেন ৬১৩। ২২ উইকেট নিয়ে ভারতের বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি জয়ে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাদা বলের ওয়ানডেতে সব নমিলিয়ে নেন ৩১ উইকেট। বিশ্বকাপে ২৪.৮৭ গড়ে নেন ১৬ উইকেট। আইসিসি
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন